১১ ডিসে, ২০১৬

শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার বিখ্যাত উক্তিসমূহ


সরকার যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে ফাঁসী দিলেও শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা আজ স্মরণীয় শত কোটি প্রাণে; ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । তিনি সত্যপ্রেমীদের হৃদয় থেকে কখনো মুছে যাবেন না, আলোর পথের যাত্রীদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে।

আমার শাহাদাতের পর যেন ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা চরম ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আমার রক্তকে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কাজে লাগায়।

I desire that the members of the Islamic movement will display utmost patience and endurance after my Shahada (martyrdom), and gain inspiration from my sacrifice to establish Islam.

আমার অপরাধ আমি ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। শুধু এ কারণেই এ সরকার আমাকে হত্যা করছে।

My crime is that I have led the Islamic movement. This is the only reason that I am about to be murdered at the hands of this government.

আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার এ মৃত্যু হবে শহীদি মৃত্যু। আর শহীদের স্থান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।

I firmly believe that, this death of mine will be a martyr’s death. And the place of the martyr is none other than Paradise.

আল্লাহ আমাকে শাহাদাতের মৃত্যু দিলে এটা হবে আমার জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ পাওয়া। এর জন্য আমি গর্বিত।

If Allah gives me the death of a martyr, this will be the greatest achievement of my life. This will make me proud.

শাহাদাতের রক্তপিচ্ছিল পথ ধরে অবশ্যই ইসলামের বিজয় আসবে। 

The victory of Islam will surely arrive through the bloody and slippery road of martyrdom.

আল্লাহ যাদের সাহায্য করেন তাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারে না।

Nobody can suppress those who are aided by Allah.

আমি বিশ্বাস করি, আমার প্রতি ফোঁটা রক্ত ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে তীব্র থেকে তীব্রতর করবে

I strongly believe that every drop of blood I sacrifice will further intensify the march of the Islamic movement

আল্লাহ নিজেই যদি আমাকে জান্নাতের মর্যাদার আসনে বসাতে চান তাহলে আমার এমন মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।

If Allah himself desires to reward me with the prestige of Paradise, then it is my duty to prepare myself to meet such a glorious death.

জালেমের হাতে অন্যায়ভাবে মৃত্যুতো জান্নাতের কনফার্ম টিকেট

Indeed! An unjust death at the hands of the oppressor is a confirmed ticket to Paradise.

বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি।

I have sacrificed my life for the sake of the Islamic movement to free the people of Bangladesh from their shackles.

আমি অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করিনি, করবো না।

I have never bowed to injustice, and I never will.

নবুয়্যতের দরজা বন্ধ হয়েছে কিন্তু শাহদাতের দরজা খোলা আছে।

The door to Prophethood has closed, but the door towards Shahada (martyrdom) is still open.

আমার জীবনের বিনিময়ে যেন ইসলামী আন্দোলন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে আল্লাহ হেফাজত করেন

I pray that Allah, in exchange of my life, keeps safe the Islamic movement and the freedom and sovereignty of this nation.

শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার ভিডিও বক্তব্যসমূহ

মিথ্যার দেয়াল তুলে ধ্রুব সত্যকে কখনো আড়াল করা যায় না । সত্য উদ্ভাসিত হয় তার নিজস্ব আলোয় । রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ফাঁসী দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল সাংবাদিক নেতা শিক্ষাবিদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে। সরকার যুদ্ধাপরাধী সাজিয়ে ফাঁসী দিলেও শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা আজ স্মরণীয় শত কোটি প্রাণে; ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । তিনি সত্যপ্রেমীদের হৃদয় থেকে কখনো মুছে যাবেন না, আলোর পথের যাত্রীদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। তার ভিডিও বক্তব্যের কালেকশন এখানে রয়েছে।


১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে ০২.০২.১৯৯১ তারিখে ঢাকা-৬ আসনে এক নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর ৬২নং ওয়ার্ড। ফকিরাপুল বাজার সংলগ্ন সড়কে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তৃতা করেন তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, ঢাকা মহানগরী আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা, মহানগরী সেক্রেটারি এটি এম আজহারুল ইসলাম।


০৪.১২.১৯৯০ তারিখে রাতে রেডিও-টেলিভিশনে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। ০৫.১২.১৯৯০ তারিখে দিনের প্রথম ভাগে তৎকালীন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মাদ ইউসুফ কারাগার থেকে মুক্তি পান।তৎকালীন ঢাকা মহানগরীর আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মাদ ইউসুফকে মিছিল সহকারে গলায় ফুলের মালা দিয়ে বায়তুল মোকাররামের উত্তর গেটে নিয়ে আসেন ও তাৎক্ষনিক সমাবেশে বক্তৃতা করেন।

তিন জোট ও জামায়াত ইসলামী আহূত আটচল্লিশ ব্যাপী হরতালের প্রাক্কালে শুক্রবার ২০.১১.১৯৮৭ তারিখে বিকালে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী কতৃক বাইতুল মোকাররামে আয়োজিত এক বিরাট সমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগরী আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা।সামাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল ঢাকা শহর প্রদক্ষিণ করে।


ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের সেনাবাহিনী কর্তৃক কুয়েত দখলের প্রতিবাদে ০৪.০৮.১৯৯০ তারিখে জামায়াত ইসলামী বাইতুল মোকাররাম উত্তর গেটে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। জামায়াতের তৎকালীন নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মাদ ইউসুফ ও ঢাকা মহানগরীর আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সমাবেশে বক্তৃতা করেন এবং মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

কমলাপুর রেলওয়ে ময়দানে ২৩শে ডিসেম্বর ১৯৮৮ তারিখে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর বার্ষিক কর্মী সন্মেলনের আয়োজন করা হয়। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা তৎকালীন ঢাকা মহানগরীর আমীর হিসাবে সন্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ও বক্তব্য রাখেন।


১৩.১০.১৯৮৯ তারিখ শুক্রবার পবিত্র মাহে রবিউল উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী এক সমাবেশ ও বর্নাঢ্য গণ-মিছিলের আয়োজন করে। সকাল সাড়ে নয়টায় আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তৃতা করেন ভারপ্রাপ্ত আমীর জননেতা আব্বাস আলী খান, তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, ঢাকা মহানগরী আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা ও মহানগরী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলাম।

ঐতিহাসিক ১০ই নভেম্বর উপলক্ষে ১০.১১.১৯৮৮ (বৃহস্পতিবার) তারিখে বিকালে বাইতুল মোকাররাম উত্তর গেটে ঢাকা মহানগরী জামায়াত এক বিশাল জনসমাবেশে বক্তব্য রাখছেন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা।

২৬,২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিন ব্যাপী এই রুকন সম্মেলনে তৎকালীন ঢাকা মহানগরী আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাও অংশগ্রহন করেন। সম্মেলনের বিরতির মাঝে জাতীয় ও বিদেশি মেহমানদেরকে আপ্যায়ন এবং মেহমানদের সাথে মতবিনিময় করেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।সম্মেলনের শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযম।


২৬.১২.১৯৮৬ তারিখে টঙ্গীর জামেয়া ইসলামিয়া প্রাঙ্গনে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ রুকন সম্মেলন আয়োজন করে। জামায়াতের তৎকালীন ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা অতিথিদের অভ্যর্থনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনদিন ব্যাপী এই রুকন সম্মেলনে জামায়াতের তৎকালীন সিনিয়র নেতৃবৃন্দগন বক্তৃতা করেন ও মুনাজাত করেন জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযম। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা এই সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ও মুনাজাতে অংশগ্রহন করেন।

রংপুরের জামায়াত নেতা মাওলানা আতাউর রহমান হামিদী হত্যার প্রতিবাদে ১৩.১১.১৯৮৮ তারিখে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।বর্তমান জামায়াতের আমীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এতে প্রধান বক্তা ছিলেন। তৎকালীন ঢাকা মহানগরীর নায়েবে আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ও সমাবেশ পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন।


২৫.১২.১৯৯০ তারিখে কমলাপুর রেলওয়ে ময়দানে ঢাকা মহানগরী জামায়াত আয়োজিত এক বিশাল কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব ও বক্তৃতা দিচ্ছেন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা।




অধ্যাপক গোলাম আযমের ফরিদপুর আগমন উপলক্ষে শুক্রবার ১৭ই মার্চ ১৯৯৫ তারিখে বিকালে ফরিদপুর হাইস্কুল ময়দানে জামায়াত ইসলামী আয়োজিত বিশাল জন সভায় ভাষণ দিচ্ছেন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা।

২৭.০৫.১৯৯১ তারিখে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর উপরে হামলার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরী এক বায়তুল মোকাররামের উত্তর গেটে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা শহরের নানা জায়গা ঘুরে প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। প্রেসক্লাবে সামনে জামায়াতের তৎকালীন ঢাকা মহানগরীর আমীর শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা বক্তৃতা করেন। পরবর্তীতে ২৮.০৫.১৯৯১ তারিখে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে দেখতে যান তৎকালীন এনডিপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন ও নেতৃবৃন্দের সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপচারিতা করেন।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ২৭.০১.২০১০ তারিখে জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জনসভায় বক্তৃতা রাখছেন শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা। চট্টগ্রাম বন্দরকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া ও ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই জনসভা আয়জন করা হয়।

১৭.০৪.১৯৯৫ তারিখে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের সফর উপলক্ষে বেগমগঞ্জে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। তথাকথিত সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য এই সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য হরতাল ডাকলেও সর্বস্তরের জনতা সমাবেশস্থলে চলে আসলে জামায়াত বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে যায়।তৎকালীন প্রচার সম্পাদক শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে বক্তৃতা করেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪.১২.১৯৮৮ তারিখে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলী খান এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা সভার ঘোষকের দায়িত্ব পালন করেন।

চট্টগ্রামে শহীদ মফিজুল ইসলামের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ০৯.১০.১৯৮৮ (রোববার) তারিখে বিকালে বাইতুল মোকাররাম উত্তর গেটে ঢাকা মহানগরী জামায়াত এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা মিছিলে অংশ নেন।

শহীদেরা এমনই। তাঁরা আগে থেকেই অনুমান করতে পারেন তাঁদের নিজেদের সম্পর্কে। শহীদ আবদুল কাদের মোল্লাও ব্যতিক্রম কিছু ছিলেন না। শুনুন তার বক্তব্য...

মহান আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা শহীদ আবদুল কাদের মোল্লার শাহদাত কবুল করুন। তাঁকে জান্নাতের উত্তম মেহমান বানিয়ে নিন। আমীন।