ইন্দিরা গান্ধীর প্ল্যান ছিল আওয়ামী কর্মী, ভারতীয় গোয়েন্দা ও অন্যান্য বিদেশী গোয়েন্দাদের ব্যাপক তৎপরতা ও গেরিলা যুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনী নাজেহাল হয়ে পড়বে। ম্যসাকার চালাবে পাকিস্তান। অবশেষে মানবতার দোহাই দিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে পড়বে। রাশিয়া এক্ষেত্রে ভারতকে সাপোর্ট দিলেও সরাসরি যুক্ত হয়নি, কারণ তা চীন ও আমেরিকাকে আরো বেশি পাকিস্তানের পক্ষে সক্রিয় করবে। কিন্তু মে মাসে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী সকল স্থানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হলো তখন ইন্দিরা আর কোনোভাবেই পাকিস্তানে অস্থিরতা তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছিল না।
আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়ার জন্য তিনি তৎপরতা চালাতে লাগলেন। কিন্তু সেরকম পজেটিভ কিছু পাননি। আমেরিকা তাকে হতাশ করলো। এরপরো দমে যেতে চান নি তিনি। এদিকে পাকিস্তান পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছে দেখে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পূর্ব-পাকিস্তানের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। টিক্কা খানকে প্রত্যাহার করে ডা. আব্দুল মোতালেব মালেককে গভর্ণর করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন শূন্য আসনগুলোতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বাঙালিরা আবার নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশে চলে গেছে। এসব ঘটনাপ্রবাহ ইন্দিরাকে ব্যাপকভাবে বিচলিত করে।
তাই তিনি পাকিস্তান ভেঙে দেওয়ার সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য কাজ করতে থাকেন।
ভারতীয় সামরিক বাহিনী পাকিস্তানে কর্মরত RAW এর এজেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা ও সে দেশে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীদের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সার্বিক অবস্থার তথ্য সংগ্রহ করে। সামগ্রিক পরিস্থিত্রি খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করার পর তারা এ যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা ভারতীয় সেনাপ্রধান মানেক'শ-কে সর্বাত্মক যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য বলেন। মানেক'শ রাজি হননি। কারণ যুদ্ধে জড়ানোর মতো উপযুক্ত কারণ তখনো তৈরি হয়নি। এছাড়া আমেরিকা যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করে তবে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সক্ষমতা ভারতের নেই।
এদিকে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি স্বীকৃতি আদায়ে তাজউদ্দিন আহমেদ মুসলিম ছাড়া আর যত জাতি আছে সবার কাছে ধরনা দিয়েছে। ভারত, রাশিয়া আর ইংল্যান্ড তো আছেই সাথে পাকিস্তানের মিত্র হিসেবে পরিচিত আমেরিকা ও চীনের সাথেও যোগাযোগ চালিয়ে গেছে। চীন তাদের পুরোপুরি হতাশ করেছে আর আমেরিকা বরাবরের মতো আশা-নিরাশার দোলাচলে রেখেছে। শুধু তাই নয় তাজউদ্দিন মুসলিমদের সর্বোচ্চ দুশমন বলে পরিচিত ইহুদীদের কাছে সমর্থন আদায়ের জন্য গিয়েছেন। কারণ তিনি জানতেন ইহুদি-খ্রিস্টানরা ধর্ম বিবেচনায় হলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাবেন।
তাজউদ্দিন ইসরাঈলের সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগের আব্দুস সামাদ আজাদকে। ইসরাঈল প্রবাসী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো সহায়তার অঙ্গিকার প্রকাশ করে। প্রবাসী সরকারের অনেক কর্মকর্তাই এটিকে ভালো চোখে দেখে নি। হয়তো ইহুদী হওয়ায় মুসলিম সত্ত্বাটি জেগে উঠেছে। সমাজতন্ত্রী ছাড়া যারা শুধু আওয়ামী লীগ তারা কেউই ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক ছিল না। তাই প্রবাসী সরকারের সাথে ইসরাঈলের সরাসরি সম্পর্ক তৈরি হয়ে ওঠেনি।
তারপরও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ইসরাইলের ভূমিকা ছিল বিস্ময়কর। ইসরাইল বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র যারা ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। ১৯৭১ সালের ২ জুলাই ইসরাইলি পার্লামেন্ট বাঙালিদের উপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণের অভিযোগ এনে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। এমনকি ইসরাইল রেডক্রস বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা, শরণার্থীদের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঔষধ কাপড় ও খাবার ভারত সরকারের নিকট পাঠায়।
সরাসরি যোগাযোগ না রাখলেও তাজউদ্দিন ও ইসরাঈলের সাথে সম্পর্কের মধ্যস্থতা করেছেন ভারতের পূর্বাঞ্চলের ইহুদী কমান্ডার জ্যাকব। মূলত ভারত ১৯৭১ সালের যুদ্ধ করেছিলো জ্যাকবের নেতৃত্বে। ইন্দিরা গান্ধী শুরু থেকেই পূর্ব পাকিস্তানে আক্রমণ চালিয়ে বাংলাদেশকে আলাদা করার ব্যাপারে দৃঢ় ছিলো। কিন্তু সেনাপ্রধান মানেক'শ এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে যুদ্ধ জড়াতে চাইছিলো না।
পাকিস্তানের সাথে মার্কিনীদের সমাজতন্ত্রী বিরোধী সিয়াটো চুক্তি রয়েছে। তাতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলো যে, কোনো সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্র দ্বারা তারা পরষ্পরের কেউ আক্রান্ত হলে উভয়েই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। সেই হিসেবে পাকিস্তান তাদের সমস্যাকে সমাজতন্ত্র সমস্যা হিসেবে বেশি আখ্যায়িত করেছে। এদিকে ভারতও রাশিয়াকে এই যুদ্ধে আমন্ত্রণ জানাতে চায় না। কারণ রাশিয়ার অংশগ্রহণ যুদ্ধকে জটিল করবে এবং আমেরিকা রাশিয়াকে ঠেকাতে সব ধরণের চেষ্টা করবে।
মানেকশ তাই সরাসরি যুদ্ধে না জড়িয়ে বাঙালিদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করানোর নীতি গ্রহণ করেছে। এদিকে ইহুদী জে এফ আর জ্যাকব ইন্দিরাকে আশ্বস্ত করেন আমেরিকাকে নিষ্ক্রিয় করার ও স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারাবার সকল পরিকল্পনা তার আছে। জ্যাকব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ে ইসরাঈলকে ব্যবহার করেন। ইসরাঈলও সর্বাত্মক সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিল। সেসময় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ছিলো গোল্ডা মেয়ার। গোল্ডা মেয়ার দফায় দফায় পাকিস্তান ইস্যুতে মিটিং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সাথে। তিনি আমেরিকাকে নিরপেক্ষ থাকতে রাজি করান।
পাকিস্তান যাতে ভেঙে যায় এই ব্যাপারে ইসরাঈল আন্তরিক ছিল। গোল্ডা মেয়ার ভারতকে অস্ত্র সাহায্য পাঠায়। ইন্দিরা যাতে এই যুদ্ধে স্ট্রং থাকে সেজন্য অস্ত্র সাহায্য ও শরনার্থী সমস্যা মোকাবেলায় ভারতকে সাহায্য করে ইসরাঈল। ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো ভারতের সাথে তখন ইসরাঈলের কোনো কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিলো না। তাছাড়া ৭১ সালে ইসরাঈল অর্থনৈতিকভাবেও দুর্বল ছিলো। তবুও গোল্ডা মেয়ার এসব সাহায্য পাঠিয়ে ভারতকে মুসলিমবিরোধী যুদ্ধে চাঙা রাখে এবং এর মাধ্যমে ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ইন্দিরা সাহায্য গ্রহণ করলেও রাশিয়ার বিরাগভাজন হওয়ার আশংকায় সেসময় কূটনৈতিক সম্পর্কের ইসরাঈলি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
১৯৭১ সালের অক্টোবরে শেষদিকে মুক্তিযুদ্ধে নিয়োজিত সকল বাহিনী তথা মুক্তিবাহিনী, মুজিববাহিনী, কাদেরিয়া বাহিনী ইত্যাদির কমান্ড ভারতীয় বাহিনী গ্রহণ করে এবং জেনারেল ওসমানীর বিরোধিতা সত্ত্বেও যৌথবাহিনী গঠন করে জ্যাকব। ভারতীয় বাহিনী সকল ক্ষেত্রে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাধ্যমে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করে। তাজউদ্দিন-ইন্দিরা চুক্তির দ্বিতীয় ২য় দফায় উল্লেখ ছিল যে, বাংলাদেশ ও ভারতের সশস্ত্র বাহিনী মিলে একটি যৌথ কমান্ডের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।
ভারতের সেনাপ্রধান উক্ত যৌথ কমান্ডের প্রধান হবেন এবং তার কমান্ড অনুসারে যুদ্ধে শামিল হওয়া বা যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সে অনুসারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বাহিনী (সামরিক বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী, মুক্তি ফৌজ, মুজিব বাহিনীসহ অন্যান্য আঞ্চলিক মুক্তিবাহিনী) কার্যতঃ ভারতীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী যাকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয়, তাকে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল আরোরা অধীনে কমান্ড গ্রহণ করতে হয়।
এদিকে জে এফ আর জ্যাকব তার পরিকল্পনা অনুসারে ও ইসরাঈল থেকে পজেটিভ ইঙ্গিত পেয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে নেমে পড়ে। যুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার সে নিজেই সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লি কিংবা মানেক'শর জন্য অপেক্ষা করে না। আত্মসমর্পনের খসড়া প্রস্তাব তার নিজেরই লেখা। সে কীভাবে অল্প সময়ে কৌশলে ব্লাফ দিয়ে আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজীকে পরাজিত করেন তা কিংবদন্তি হয়ে আছে। এজন্য সে ব্লাফ মাস্টার খ্যাতি পায়।
ভারতীয় স্থলবাহিনীর সম্মুখ অভিযান শুরু হয় চারটি অঞ্চল থেকে
১. পূর্বে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে তিন ডিভিশনের সমন্বয়ে গঠিত ৪র্থ কোর সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী অভিমুখে।
২. উত্তরাঞ্চল থেকে দু' ডিভিশনের সমন্বয়ে গঠিত ৩৩তম কোর রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া অভিমুখে
৩. পশ্চিমাঞ্চলে থেকে দু' ডিভিশনের সমন্বয়ে গঠিত ২য় কোর যশোর কুষ্টিয়া, খুলনা, ফরিদপুর অভিমুখে এবং
৪. মেঘালয় রাজ্যের তুরা থেকে ডিভিশনের চাইতে ছোট একটি বাহিনী জামালপুর ও ময়মনসিংহ অভিমুখে।
এর সঙ্গে যুক্ত হয় ভারতের বিমান ও নৌশক্তি, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচ্ছন্ন কিন্তু সদাতৎপর সহযোগিতা।
এসব মিলে বাংলাদেশকে ডিসেম্বরের এক তারিখ থেকে ঘিরে ফেলে ভারত।
২ ডিসেম্বর ভারত সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে খুলনার কিছু অংশ দখল করে। এর প্রতিবাদে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৩ ডিসেম্বর দুই দেশ পাল্টাপাল্টি বোমা হামলা করে ও সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের কয়েকদিনের মধ্যেই পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ রণেভঙ্গ দেয়। পূর্ব-পাকিস্তান কমান্ডার নিয়াজী কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। ইস্টার্ন রিফাইনারিতে হামলা করে ভারত জ্বালানী তেলের মজুদ ধ্বংস করে দেয়। ভারতীয় বিমান বাহিনী আকাশ থেকে লিফলেট ফেলে ঢাকাকে আত্মসমর্পনের জন্য নির্দেশ দিতে থাকে। এদিকে কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন নিয়াজীকে জ্যাকব ব্লাফ দেয় যে, সেনাবাহিনী একটা অংশ ও অবাঙ্গালিরা তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে।
১১ তারিখ গভর্নর হাউসে (বঙ্গভবনে) বোমা হামলা করে ভারত। সাহস হারিয়ে ডা. মালেক পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি ও তার সরকারের কিছু মন্ত্রী Hotel Intercontinental (বর্তমান রূপসী বাংলা)-এ আশ্রয় গ্রহণ করেন। এটি আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত নিরপেক্ষ স্থান ছিল। মূলত ১১ তারিখ থেকেই নিয়াজির বাঁধ ভেঙে যায়। সে হতাশ হয়ে পড়ে। তাছাড়া ৪ দিক থেকে ধীরে ধীরে ঢাকার দিকে এগোতে থাকে ভারতীয় বাহিনী। ১৩ ডিসেম্বর নিয়াজী জ্যাকবের কাছে আত্মসমর্পন করার সিদ্ধান্ত জানান। এরপর পাকিস্তান বাহিনী যারা সারাদেশে যুদ্ধ করছিলো তারা পুরোপুরি হাল ছেড়ে দেয় ও পিছু হটে ঢাকার দিকে আসতে থাকে।
১৬ তারিখ আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানের ডেট নির্ধারিত আয়োজন হয়। ভারতীয় জেনারেলরা আত্মসমর্পনের ব্যাপারে ওসমানীকে অন্ধকারে রাখে। নিয়াজীও চেয়েছিলো মুক্তিবাহিনীর কাছে নয় বরং ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করতে। কারণ মুক্তিবাহিনীর কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে চুক্তিবদ্ধ নয়। তারা বন্দীদের সাথে নৃশংস আচরণ করতে পারে যা ভারতীয় সেনাবাহিনী করবে না।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। মাত্র ১৩ দিনের যুদ্ধে পরাস্ত হয় পাকিস্তান।
২২ ডিসেম্বর একটি ভারতীয় বিমানে করে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিসহ মন্ত্রীসভার অন্যান্য সদস্যগণ ঢাকা আসেন। কি কারণে প্রবাসী মন্ত্রীসভা ছ'দিন পর প্রত্যাবর্তন করে তা পরিস্কার নয়। এ সময়ে ভারতীয় বাহিনী সকল সেনানিবাস ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (KPI) নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ভান্ডারের অধিকাংশ ভারতে স্থানান্তরের সুযোগ পায়। এ সময়ই ভারতীয় বাহিনীর লুটতরাজের বিরোধিতা করায় সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে গ্রেফতার করে ভারত।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন