১৫ মার্চ, ২০২২

ছাত্রলীগের অস্ত্রবাজি


আওয়ামী আমলে ছাত্রলীগ যে ধরণের কাজ করেছে এবং করে যাচ্ছে তাতে তাদের হাতে অস্ত্র থাকাটা খুব স্বাভাবিক। সারাদেশে ছাত্রলীগ অস্ত্রের সহজলভ্যতা এনে দিয়েছে। শুধু বড় নেতারা নয়, গ্রাম গঞ্জে ওয়ার্ড ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে অস্ত্র। চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি, খুন, নারী নির্যাতন, টেন্ডার, ভর্তি বাণিজ্য, পদ বাণিজ্য, আধিপত্য বিস্তার, দলীয় কোন্দলে মারামারি, বিরোধী মতকে হত্যা করা সব কাজেই অস্ত্র মোক্ষম উপাদান।

গত আট বছরে অর্থাৎ ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ খুন করেছে অন্তত ২৫৩ জনকে। গোলাগুলিতে আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

ছাত্রলীগ বুলেটের আঘাত থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি। এমনকি রেহাই পায়নি মায়ের গর্ভে থাকা শিশুও। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই মাগুরায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ আধিপত্য নিয়ে গোলাগুলি শুরু করে। ছাত্রলীগের নির্বিচার গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগম। সেই সাথে তার চাচা শ্বশুর মমিন ভূঁইয়াও গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মমিন ভূঁইয়া। অন্তঃসত্ত্বা নাজমা বেগমের সাথে গুলিতে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায় গর্ভস্থ শিশু।

রাবিতে ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়েছেন। এ সময় তাঁদের অনেককে গুলি করতে ও ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট, ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

 হামলা চলাকালে পিস্তল হাতে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ (বামে) ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন (ডানে)।

ইবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সজিবুল ইসলাম সজিবের (ব্যাগ হাতে) কাছ থেকে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মতিয়ার রহমান (বাঁয়ে) এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বিসিএস ক্যাডার আজিজুল হক মামুন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্রবাজ হিসেবে পরিচিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সজিবুল ইসলাম সজিবের বিরুদ্ধে এবার অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলার অভিযোগ উঠেছে। সজিবের সেই অস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিসিএস ক্যাডার থেকে শুরু করে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের পেছনের নির্জন স্থানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার ছবি প্রকাশ হয়ে গেলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ছবিগুলোতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষক এবং এক বিসিএস ক্যাডারকেও আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গেছে।  সজিবের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক ব্যবসারও অভিযোগ এখন সবার মুখে মুখে।

১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ‘ছাত্রলীগের হাতে জেমস বন্ডের অস্ত্র! শিরোনামে যুগান্তর পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে বলে রাবিতে ছাত্রলীগ বেছে নিয়েছে জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্র ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ সিনেমায় ব্যবহৃত ‘বেরেটা টম ক্যাট’ অস্ত্রের মতো মারণাস্ত্র। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হয় এ অত্যাধুনিক অস্ত্রের গুলি।

 ১ জুন ২০১৪ লক্ষ্মীপুরে দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্না বাহিনীর প্রধান নিজাম উদ্দিন মুন্না (৩০) অস্ত্র ও গুলিসহ লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছেন। ১২টার দিকে সন্ত্রাসী মুন্না একটি একে-টু টু বিদেশী রাইফেল ও ১৯৮ রাউন্ড তাজাগুলিসহ সদর থানায় এসে আত্মসমর্পন করেন।

২২ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সশস্ত্র ক্যাডারদের শ’ শ’ রাউন্ড গুলিবিনিময়কালে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক সাইফুল আলম লিমনকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৭। সিআরবি এলাকায় একটি জোড়া খুনের ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে নগরীর লালখান বাজারের বাসা থেকে তিন সহযোগীসহ লিমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রাবাসের কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির রুম থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি -বিদেশি অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি কাঠের বাট যুক্ত পাইপ গান, ১টি থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ড্যাম, ১টি এয়ার গান, ৩টি ম্যাগাজিন, ৮৯ রাউন্ড পিস্তলের গুলি,৩টি রাউন্ড থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলি, ৪ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, পাইপগন তৈরি বিভিন্ন অংশ, ২টি চাইনিজ কুড়াল, ৫টি বড় রামদা, ৩টি রামদা, ২টি ছোট চাকু এবং ৩৩ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
 
২৯ নভেম্বর ১৬ সালে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিদেশি পিস্তল নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠার একটি ছবি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগকর্মী মো. ফিরোজ মাহমুদ আড্ডাচ্ছলে আরেক ছাত্রলীগ কর্মী শুভজিৎ অন্তু কুন্ডুর কপালে একটি বিদেশি নাইন এম এম পিস্তল ঠেকিয়ে ধরেছেন। অন্য আরেকটি ছবিতে অন্তু পিস্তল নিয়ে বসে আছেন। অভিযুক্ত দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের ছাত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত দু’জনই হল ছাত্রলীগ কর্মী আফফান হোসেন আপনের অনুসারী।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে অস্ত্রসহ আটক করেছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৭ মে ২০১৬ তারিখে দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চাড়িয়া বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে নুরুল আজিম রনিকে আটক করা হয়েছে। রনির কাছ থেকে একটি নাইনএমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। নুরুল আজিম রনিকে এর আগেও অস্ত্র হাতে চট্টগ্রাম কলেজে কয়েকবার তান্ডব ও হামলা চালাতে দেখা যায়।

২০১৬ সালের ২৪ জুলাই ছাত্রলীগকর্মী লিন্টু শেখের বাড়ি থেকে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।তার বাড়ি থেকে একটি ৭.৬২ পিস্তল ও তিন রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।৩১ অক্টোবর ১৬ তারিখে গুলিস্তানের ফুটপাথে সম্প্রতি হকার উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের মধ্যে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে দেখা যায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে গুলি করছে। অস্ত্রধারী দুজন হলো সাব্বির এবং আশিক। সাব্বির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আশিক ছিলেন ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
 
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮তারিখে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে একাংশের নেতাকর্মীরা। তাদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ, সড়ক অবরোধ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে গত দুবছর বহুবার নরুল আজিম রনির নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায়।

ছাত্রলীগের অস্ত্রবাজির কিছু নমুনা 

ছাত্রলীগের দামি পিস্তল ও কিছু সস্তা জীবন
যে পিস্তল দিয়ে ইমন গুলি করছিলেন, তার ব্র্যান্ডের নাম বেরেটা টমক্যাট। দাম তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। ছোট কিউট স্মার্ট একটা অস্ত্র। এটা দিয়ে বেশি দূরে গুলি করা যায় না। তবে এর ক্যারিশমা অন্য জায়গায়। সুকুমার রায় বেঁচে থাকলে এটা দেখে বলতেন, ‘এতটুকু যন্ত্র হতে এত শব্দ হয়!’। অস্ত্রটা বাংলাদেশে এসেছে নাকি মাত্র তিন মাস হলো। অবশ্য অবৈধভাবে এর আগেও আসতে পারে। স্মার্ট পিস্তল হাতে ইমনকে ড্যাশিং দেখালেও কাজের বেলায় তিনি ঠনঠনা। গুলিবাজির ভিডিও দেখলে যে কেউ-ই বুঝবেন, অস্ত্রের প্রশিক্ষণ ঠিকমতো হয়নি। হাত কাঁপে, বুলেটভরা ম্যাগাজিন ভুল করে খুলে ফেলে। নিজের গুলির শব্দে নিজেই ভয়ে চমকে ওঠে। অন্য কারণের পাশাপাশি এই আনাড়িপনার জন্যও তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪/ প্রথম আলো 

অস্ত্রবাজেরা উঁচু পদে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরাই সংগঠনের কমিটিতে বড় পদ পেয়েছেন। গত কমিটিতে এ রকম অন্তত চারজন স্থান পেয়েছেন, যাঁরা অতীতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপরে চড়াও হয়েছিলেন। ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এমন তথ্য দিয়েছেন। ছাত্ররা বলছেন, অতীতে যাঁরা অস্ত্রবাজি করেছেন, তাঁদের নতুন কমিটিতে বড় পদ দেওয়ায় অস্ত্রবাজি উৎসাহিত হয়েছে। গত রোববারের ঘটনাকে তাঁরা এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছেন। অস্ত্রবাজির ঘটনায় কাউকে কাউকে বহিষ্কার করা হলেও তাঁদের বরাবরই সংগঠনের হয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। তাঁদেরই আবার কমিটিতে ফিরিয়ে নিয়ে বড় জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪/ প্রথম আলো 

অধ্যক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিল ছাত্রলীগ
কিশোরগঞ্জের সরকারি গুরুদয়াল কলেজের অধ্যক্ষ খুরশেদ উদ্দিন ঠাকুরকে নিজ কার্যালয়ে অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। এ সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অধ্যক্ষকে নিজ কার্যালয়ে অন্তত ৪০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।
নেতাদের সুপারিশ অনুযায়ী কিছু ছাত্রকে ভর্তি করাতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা আশরাফুল হক ওরফে হেভেন ও জাহাঙ্গীর আলম রানার নেতৃত্বে গত সোমবার দুপুরে এই সশস্ত্র মহড়া পরিচালনা করা হয়। জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রলীগ কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আর আশরাফুল সদস্য।
২৩ জুলাই ২০১৪/ প্রথম আলো 

ছাত্রলীগের অস্ত্র প্রশিক্ষণ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচিত অস্ত্র প্রশিক্ষণের ঘটনা ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতির বিপৎসীমা পেরিয়ে যাওয়ার সূচক। ছাত্রলীগের বর্তমান এক নেতা সাবেক দুই নেতাকে বনের মধ্যে পিস্তল চালাতে শেখাচ্ছেন—এমন দৃশ্যে লজ্জায় নাক কাটা পড়ার কথা সংগঠনটির। কিন্তু ছাত্রলীগের মধ্যে ভাবান্তর নেই। তাহলে জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে এদের তফাত কোথায়? ঘটনাটি পুরোনো হলেও উন্মোচনটি নতুন। এর আগে রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্ধত পিস্তলের ব্যবহার দেশবাসী দেখেছে। ন্যক্কারজনকভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং এক বিসিএস ক্যাডারও ‘প্রশিক্ষিত’ হতে গেছেন; এঁরাও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগ নেতা ও তাঁর সহকারীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে; কিন্তু ওই শিক্ষক ও প্রশাসনিক ক্যাডারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্য অমার্জনীয়।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪/ প্রথম আলো 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অস্ত্রের মহঙা
সঙক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘ছাত্রলীগকে খারাপ খবরের শিরোনাম না হওয়ার আহ্বান’ জানিয়েছিলেন। সপ্তাহ পার না হতেই আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের মহঙা দিয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এ সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করেন তাঁরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
৩ মার্চ ২০১৫/ প্রথম আলো 

মা ও জঠরে শিশু গুলিবিদ্ধ:
ব্যবস্থা নেয়নি ছাত্রলীগ, অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ
মাগুরায় ছাত্রলীগের গুলিতে মা ও জঠরে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়া এবং বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি ছাত্রলীগ। উল্টো ঘটনার পর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের প্রতিবাদে অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই বিবৃতি দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। এদিকে ওই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। জেলা ছাত্রলীগের দেওয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক পক্ষের নেতা কামরুল ভূঁইয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেই। তিনি আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সেন সুমন প্রধান আসামি হলেও তাঁকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে।
৯ আগস্ট ২০১৫/ প্রথম আলো

অস্ত্র মামলায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা লিমন কারাগারে
গত মঙ্গলবার রাতে নগরের খুলশী থানার লালখান বাজার এলাকায় লিমনের বাসা থেকে তিন সহযোগী সাদ্দাম হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম ও আজিজুল হককে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭। এ ঘটনায় পরদিন র‌্য্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক আবদুল মুজিব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে লিমনসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
২৭ নভেম্বর ২০১৫/ প্রথম আলো 

অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার
অস্ত্র মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু তাহের মামুন নামের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর ক্যাম্পাস এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। এ সময় তাঁর বাসা থেকে নগদ ৫ লাখ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
১৩ জানুয়ারি ২০১৬/ প্রথম আলো 

পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
পুলিশের ওপর হামলা ও এক উপপরিদর্শকের (এসআই) কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আজ শনিবার নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটটি গুলি ও ১৭টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বন্দর থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বন্দর ডকইয়ার্ডের লেবার সরদার ও লেবার কন্ট্রাক্টরদের কাছ থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদা আদায় করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই অখিল পোদ্দার দুজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশ ছোট মাসুদ নামের এক আসামিকে আটক করে। তাঁর আটকের খবর পেয়ে খান মাসুদের নেতৃত্বে তাঁর বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আসামি ছোট মাসুদকে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ছিনিয়ে নেয় এসআই অখিল পোদ্দারের ব্যবহৃত পিস্তলটি। তাঁদের হামলায় এসআই অখিল পোদ্দার, কনস্টেবল মান্নান ও আমিরুল ইসলাম আহত হন।
২ জুলাই ২০১৬/ প্রথম আলো 

ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশের দুই কক্ষ থেকে মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল তৈরির উপকরণসহ সাতজন বহিরাগত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গত রোববার রাতে পুলিশের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বহিরাগত ব্যক্তিদের আটক ও মাদক-অস্ত্র উদ্ধার করে। অস্ত্রের মধ্যে চায়নিজ কুড়াল, রামদা ও লোহার পাইপ ইত্যাদি ছিল। এ সময় ১০১, ৩১৩, ৩১৪ ও ৩১৫ নম্বর কক্ষ সিলগালা করা হয়।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/ প্রথম আলো 

গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ
গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান ওরফে রিয়াদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছে। কিন্তু গতকাল শনিবার পর্যন্ত পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পিস্তল, গুলিসহ দুই যুবককে আটকের সূত্র ধরে রিয়াদের অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত থাকার তথ্য পায় পুলিশ। পরদিন আটক দুই যুবকসহ রিয়াদকেও আসামি করে মতিঝিল থানায় একটি মামলা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, ২১ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর বাজার রোডের আনার বেকারির পশ্চিম পাশে অস্ত্র কেনা-বেচা হবে। সে অনুযায়ী দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ওই এলাকায় গেলে দুই যুবক পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাঁদের আটক করে।
১২ মার্চ ২০১৭/ প্রথম আলো 

অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগ ‘নেতা’ গ্রেপ্তার, শাটল ট্রেন চলাচলে বাধা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য স্থগিত করা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মামলা আছে এমন অনেক নেতা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাঁদের না ধরে রাকিবকে গ্রেপ্তার করেছে। রাকিবকে মুক্তি দেওয়া না হলে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।
২২ মে ২০১৭/ প্রথম আলো 

৭টি অস্ত্র উদ্ধার, ছাত্রলীগের নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
র‌্যাব-পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীর ছাত্রলীগের এক নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে এক ছাত্রলীগ কর্মীর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, চারটি ম্যাগজিন ও ২০টি গুলি উদ্ধার করা হয়। শহর ও পাকশী এলাকায় গত মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব-পুলিশ পৃথক ওই অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন ছাত্রলীগ কর্মী রাফিকুল ইসলাম ওরফে রাফিক (৩৫) ও পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সদরুল আলম ওরফে পিন্টু (৩০)।
১ জুন ২০১৭/ প্রথম আলো 

অস্ত্র মামলায় ছাত্রলীগ নেতা রনির বিচার শুরু
২০১৬ সালের ৭ মে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলাকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রের পাশ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ব্যালট পেপারে ব্যবহৃত একটি সিলসহ নুরুল আজিমকে আটক করে বিজিবি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভোটকেন্দ্রে অবৈধ প্রবেশ ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ইউপি নির্বাচন আইনে তাঁকে দুই বছরের কারাদন্ড দেন। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। পরে তাঁর মুক্তির দাবিতে ওই বছরের ৮ মে থেকে টানা প্রায় এক সপ্তাহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। ৩০ জুন নুরুল আজম জামিনে মুক্তি পান। আর সাজা হওয়া দুই বছরের কারাদন্ডের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেন।
৭ আগস্ট ২০১৭/ প্রথম আলো  

ছাত্রলীগের ‘বড় ভাই’দের কাছে অস্ত্র পায় তারা
চট্টগ্রাম শহরে কিশোরদের মধ্যে ছোটখাটো বিরোধেও এখন অস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। এ অস্ত্র তারা পাচ্ছে ‘বড় ভাই’ হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার কাছ থেকে। ‘বীরত্ব’ দেখানো শেষ হলে তারা সেই অস্ত্র (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিস্তল) বড় ভাইদের ফিরিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম শহরে স্কুলপড়ুয়া এক কিশোর খুন হওয়া এবং পুলিশকে গুলি করার মতো আলোচিত দুটি ঘটনার তদন্তে ভয়ংকর এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। নগরের বিভিন্ন স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির বেশ কিছু শিক্ষার্থী রাজনৈতিক বড় ভাইদের ছত্রচ্ছায়ায় অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। এতে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষকেরা। তুচ্ছ ঘটনায় কিশোরেরা নিজেদের মধ্যে অস্ত্র নিয়ে একের পর এক হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। সাম্প্রতিক সময়ে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার কয়েকজন কিশোর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বড় ভাইদের কাছ থেকে অস্ত্র নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ প্রথম আলো 

অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি: ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর গুলিস্তানে ফুটপাত ও সড়ক থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ সময় হকারদের সঙ্গে ডিএসসিসির কর্মচারী ও একদল যুবকের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে যুবকদের মধ্য থেকে সাব্বির ও আশিকুর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ফাঁকা গুলি করেন। গুলিবর্ষণের ঘটনায় সাব্বির ও আশিককে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। ঘটনার চার দিন পর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত দুই নেতার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। ওই দুজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করে পুলিশ।
১৫ এপ্রিল ২০১৮/ প্রথম আলো 

ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার
যশোরের শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকুল হুসাইনের বাড়িতে গত শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ১২টি ম্যাগাজিনসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শনিবার বেনাপোল বন্দর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। এদিকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটিকে ‘পুলিশের সাজানো নাটক’ আখ্যা দিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।
১৫ জুন ২০১৯/ প্রথম আলো 

দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ফেনীতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়ক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার নাম এম এ মাসুদ রানা (২৪)। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের মধ্যম কাছাড় গ্রামের বাসিন্দা।
৬ আগস্ট ২০১৯/ প্রথম আলো 

অস্ত্র মামলায় ঢাবির সাবেক দুই ছাত্রলীগ নেতা রিমান্ডে
অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ আদেশ দেন। রিমান্ডপ্রাপ্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীঙাবিষয়ক উপসম্পাদক হাসিবুর রহমান ও  সাবেক অর্থবিষয়ক উপসম্পাদক আবু বকর। গতকাল মঙ্গলবার হাসিবুর ও বকরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের একটি কক্ষ থেকে অস্ত্র, মাদকসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এই দুই আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং অস্ত্র আইনে শাহবাগ থানায় মামলা হয়।
৯ অক্টোবর ২০১৯/ প্রথম আলো 

অস্ত্র ও ইয়াবাসহ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ প্লাবন খান নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গতকাল বুধবার রাতে পৌর এলাকার দক্ষিণ পাড়ায় ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্লাবন খান দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা এবং সাভার সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৩১ অক্টোবর ২০১৯/ প্রথম আলো 

এমসি কলেজে ছাত্রলীগের দখলে থাকা কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দখলে থাকা কক্ষে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় পাইপগানসহ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে। শনিবার ভোরের দিকে শাহপরান থানার পুলিশ ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়।ছাত্রাবাসের তত্ত¡াবধায়ক মো. জামাল উদ্দিন পুলিশের অভিযানের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণকারীদের শনাক্ত করতে শুক্রবার রাত থেকে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ভোর সাড়ে চারটার দিকে শাহপরান থানার একদল পুলিশ ছাত্রাবাসে অবস্থান নেয়। পরে তল­াশি করতে গিয়ে একটি কক্ষ থেকে পাইপগানসহ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০/ প্রথম আলো

কক্সবাজারে অস্ত্র হাতে মহড়া, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
কক্সবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়া ছাত্রলীগ কর্মী রিদুয়ান আলী সাজিনকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে এ সিদ্ধান্ত নেয় পৌর ছাত্রলীগ। এদিন বিকালে শহরের উত্তর নুনিয়ার ছড়া এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে ওই ছাত্রলীগ নেতা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।

ছাত্রলীগ নেতার হাতে অস্ত্রের ছবি নিয়ে শহরজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে কক্সবাজার পৌর শাখা ছাত্রলীগের ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করে পৌর ছাত্রলীগ।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০/ মানবজমিন 

সেই অস্ত্রধারী এখন ছাত্রলীগের নেতৃত্বে
দুই বছর আগে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরদিন কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের শিরোনামও হয়েছিলেন। অস্ত্রসহ তার ছবি ছাপানো হয় পত্রিকায়। সেই অবৈধ অস্ত্রধারীকে এবার নেতৃত্বে এনেছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। গত বৃহ¯পতিবার রাতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি থানার কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে ডবলমুরিং থানার সাধারণ স¤পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া 
হয় সেই অস্ত্রধারী রাকিব হায়দারকে।
৭ ফেব্র“য়ারি ২০২০/ সমকাল 

কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ হোস্টেলে পিস্তল নিয়ে হামলা
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের হোস্টেলে মাসিক খরচ চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হোস্টেলের তিনজন আবাসিক শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে হোস্টেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বিকেল সাড়ে চারটায় হোস্টেল উপদেষ্টা কমিটির এক জরুরি সভায় উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৪ জানুয়ারি ২০২০/ আরটিভি

দুই শর বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছেন ছাত্রলীগ নেতা
ভারত থেকে আনা অস্ত্র বিক্রির একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন যশোরের শার্শা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা আকুল হোসেন। রাজধানী ঢাকা, সীমান্তবর্তী যশোর, সাতক্ষীরা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সক্রিয় রয়েছেন এই চক্রের অর্ধশতাধিক সদস্য। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) গতকাল বৃহ¯পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে। পুলিশ বলছে, গত ছয় বছরে ২০০টির বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছেন আকুল ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা প্রতিটি অস্ত্র ২৮ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কিনতেন। বিক্রি করতেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। ভারতের তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অস্ত্র কিনতেন তাঁরা।
৩ সেপ্টেম্বর ২০২১/ প্রথম আলো

কলেজে অস্ত্রের মহড়া! আতঙ্ক
কলেজে ছাত্রদল নেতারা রয়েছে এমন খবরে সেখানে ছাত্রলীগ কর্মীরা একটি মিছিল বের করে। এ সময় তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। মিছিলটি কলেজ গেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সম্রাট ভুঁইয়া বলেন, ছাত্রদলের আহŸায়ক ইমরান মৃধা, সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন, যুগ্ম আহŸায়ক খোরশেদ আলম, শাহাদত মন্ডল, মেরাজ হোসাইনসহ ৫-৭ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর মুঠোফোনে কলেজ ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে অবহিত করেছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১/ যায়যায়দিন

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন