২৮ মার্চ, ২০২২

বেকারত্বের অভিশাপে অভিশপ্ত বাংলাদেশ

 



বিবিএসের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য মতে দেশে  ৪ কোটি ৮২ লাখ মানুষ প্রকৃত বেকার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শ্রমশক্তির বাইরে (বেকার) ছিল ৪ কোটি ৬৬ লাখ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার। বেকারত্বের কারণে ৭৮ লাখ বাংলাদেশী বর্তমানে বিদেশে কর্মরত। কাজের অভাবে ভিটেমাটি বিক্রি করে এবং ধারদেনা করে হলেও বিদেশে যাওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ফিরছেন লাখ লাখ তরুণ বেকার। একটি সংস্থার তথ্যানুযায়ী দেশে উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে শতকরা ৪৭ ভাগ বেকার।

বেকারত্বের এমন চিত্র যে দেশে সে দেশে তিন লাখ বিদেশী নাগরিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত রয়েছেন। বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা চলে যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারত চতুর্থ রেমিট্যান্স আহরণকারি দেশ বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা তারা নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ থেকে। এক দিকে বাংলাদেশী শ্রমিকেরা বিদেশে কঠোর শ্রম আর ঘাম ঝরিয়ে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। অপর দিকে তাদের পাঠানো প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ পরিমাণ টাকা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছেন এখানে কর্মরত বিদেশীরা। বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ রেমিট্যান্স আহরণকারি দেশ। চাকরিতে উচ্চপদগুলো ভারতীয়দের দখলে, অথচ বাংলাদেশি যুবকরা বেকার! 

দেশে গত এক দশকে অর্থনীতির গতি বাড়লেও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ কমে গেছে। এ সময়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দ্রুত বাড়লেও কর্মসংস্থানে দেখা দিয়েছে নেতিবাচকতা। এক দশক আগে বিভিন্ন খাতে যে হারে নতুন চাকরির সুযোগ ছিল, এখন আর সেই ধারা নেই। ২০১০ সালের পর কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ থেকে কমে নেমেছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশে। প্রতি বছর ১৬ লাখ কর্মক্ষম মানুষ চাকরির বাজারে ঢুকলেও শিল্প খাতে নতুন চাকরি সৃষ্টি হচ্ছে বছরে দুই লাখের মতো। তবে ১০ বছর আগেও শিল্প খাতে প্রতি বছর নতুন কর্মসংস্থান হতো সাড়ে তিন লাখ মানুষের।

তথ্যপ্রযুক্তিসহ নতুন কিছু খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলেও দেশের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মসংস্থান বাড়েনি, উল্টো ২০১৬ সালের পর থেকে কমেছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজতকরণ শিল্পেও আগের চেয়ে নতুন কর্মসংস্থান কমেছে। বেসরকারি খাতের বাইরে সরকারিভাবে প্রতি বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার চাকরিতে নিয়োগ হয়। ফলে কর্মক্ষমদের বড় অংশই বেকার থেকে যাচ্ছে। দেশের কর্মক্ষম জনশক্তির ৩৫ ভাগ পড়াশোনা, কাজকর্ম ও কোনো ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্যে নেই। আর শতভাগ বেকার মানুষের সংখ্যা ৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ৪০ ভাগই কোনো কাজ পাচ্ছে না। পুরনো এসব বেকারের সঙ্গে প্রতি বছর যুক্ত হচ্ছে নতুন বেকার। ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির ফারাক বাড়ছে। এক যুগ আগে প্রতি ১ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধির বিপরীতে কর্মসংস্থানের হার ছিল দশমিক ৫৪৯৯ শতাংশ, এখন এ হার দশমিক ১৭৬৫ শতাংশ। এ অবস্থায় দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে বাংলাদেশ চলমান জনসংখ্যার বোনাসকালের সুফল ভোগ করতে পারবে না বলে উঠে এসেছে শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক কৌশলপত্রের খসড়ায়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা ‘ন্যাশনাল জবস র্স্ট্যাটেজি ফর বাংলাদেশ-এর খসড়ায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় খসড়াটি তৈরি করেছেন গবেষক ড. রিজয়ানুল ইসলাম ও রুশিদান ইসলাম রহমান। তারা বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধিকে কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি বলে উল্লেখ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বেকারত্ব দূর করতে হলে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২৯-৩০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রতি বছর পাঁচ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি দেশে ১৮ লাখ ৪০ হাজার করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও (বিডা) নিবন্ধিত বিনিয়োগ প্রস্তাবের বিপরীতে ২০১১-১২ অর্থবছরের পর থেকে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার তথ্য দিয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে দেশি-বিদেশি নিবন্ধিত কো¤পানিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৬৬২ জনের। পরের অর্থবছর সামান্য কমে নামে ৪ লাখ ৫১ হাজার ১৫০ জনে। ২০১৪-১৫ সময়ে তা আরও কমে নামে ২ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৩ জনে। পরের অর্থবছর কর্মসংস্থান হয় ২ লাখ ২৬ হাজার ৪১১ জন। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।
 
আইএলওর প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বেকারের হার বেশি:
২৪ জানুয়ারি ২০১৮ প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বেকারত্বের হার বাংলাদেশেই বেশি। ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভুটান এ হার কমিয়ে এনেছে। ভারতে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেড়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।
 
বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ উচ্চশিক্ষিতরাই বেশি বেকার:
বাংলাদেশে প্রতিবছর ২২ লাখ কর্মক্ষম লোক চাকরি বা কাজের বাজারে প্রবেশ করেন কিন্তু কাজ পান মাত্র সাত লাখ মানুষ  ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট-এর ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ)-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের শতকরা ৪৭ ভাগ স্নাতকই বেকার যেখানে ভারতে ৩৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ২৮ শতাংশ, নেপালে ২০ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেকার রয়েছেন ওদিকে বাংলাদেশে এখনো কৃষিখাতেই সবচেয়ে বেশি লোক কাজ করেন এখনো বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের ৪৮ ভাত কৃষি খাতে, ৩৭ ভাগ সেবা খাতে এবং শিল্পখাতে ১৫ ভাগ। প্রতি পাঁচজন বেকারের মধ্যে দুজন উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। মনমতো চাকরি পাচ্ছেন না। বাংলাদেশে যত লোক বেকার, তাঁদের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে দুজন উচ্চমাধ্যমিক কিংবা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। শ্রমশক্তি ২০১৬-১৭ জরিপে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ৬ লাখ ৩৮ হাজার তরুণ-তরুণী কোনো কাজ পাননি। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ৪ লাখ ৫ হাজার লোক এখনো পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাননি। অন্যদিকে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি, এমন মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৩ লাখ। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ আছেন ৬ কোটি ৩৫ লাখ। তবে তাঁদের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ লোক।

জিএসপি সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ সরকার:
২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা বা জিএসপি স্থগিত করেছিল মার্কিন সরকার। ২০১২ সালের নভেম্বরে আশুলিয়ার পোশাক কারখানা তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকা ন্ডে ১১০ জনের মৃত্যু এবং তারপর মাত্র ৫ মাসের মাথায় ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসে এক হাজারেরও বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর শ্রমিকদের কাজের নিরাপত্তার অভাবের কারণ দেখিয়ে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র তাদের এক বিবৃতিতে জানায় বাংলাদেশে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নত না হওয়া পর্যন্তবাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত থাকবে। জিএসপি সুবিধা ফিরে না পাওয়ায় অনেক তৈরি পোষাক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে আছে।
 
দেশে কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারের ব্যর্থতা:
বিগত এক দশক ধরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি একই অঙ্কের কাছাকাছি থাকলেও সেই অনুপাতে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়নি। মূলত: দেশে অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ব্যর্থতা, অকৃষি খাতে অধিক প্রাধান্য না দেওয়া, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দূরাবস্থা, দেশে বেসরকারি ও ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে অপ্রতুলতা, বিনিয়োগের বিপরিতে অধিক ঝুঁকির আশঙ্কা, অতিমাত্রায় ব্যাংক সুদ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, সকলপ্রকার কাজে অধিক দলীয়করণ, দুর্নীতি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, জায়গা ও অবকাঠামোগত সমস্যাসহ আর্থিক বিশৃঙ্খলতার কারণে আমাদের দেশে বিনিয়োগ দিন দিন কমতে শুর” করেছে। ফলে ক্রমাগত হারে সঙ্কুচিত হচ্ছে কর্মসংস্থান।

বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানিতে সরকারের ব্যর্থতা:
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি কমেছে জনশক্তির সবচেয়ে বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যে এখন খুব বেশি মানুষ যাচ্ছে না বায়রা-র সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ কালাম মনে করেন, কূটনৈতিক ব্যর্থতাই এর মূল কারন মধ্যপ্রচ্যে জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়ায় ডয়চে ভেলেকে এমনটিই বলেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা)-র সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ কালাম তিনি বলেন, ‘‘কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রপ্তানি এখন প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে আগের তুলনায় আমরা ৫ শতাংশ মানুষও পাঠাতে পারি না মালয়েশিয়ার বাজারও বন্ধ ফলে আমরা একটা খারাপ সময় পার করছি”

বেকারদের আত্মহত্যা:
জরিমানা দিতে না পারার হতাশা থেকে আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে একটি চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থী। বেকারত্ব ও হতাশা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
বছরে গড়ে ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেন বাংলাদেশে। গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার লোক আত্মহত্যা করেন। বয়সের হিসেবে তরুণ-তরুণীরাই বেশি আতœঘাতী হচ্ছেন তবে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এরচেয়ে আরো ১০ গুণ বেশি মানুষ।

২০১৫ সালের এপ্রিলে কোটালীপাড়ায় বেকারত্বের অভিশাপ সহ্য করতে না পেরে স্ত্রীর শাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক ছবেদ আলী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ১৩ মাস আগে  তাদের বিয়ে হয়।  বিয়ের আগে দিপক বাকচী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে গার্ডের চাকরি করতেন। বিয়ের পরে সে আর চাকরিতে যোগদান করেননি। পরে সে এলাকায় কাজের সন্ধান করতে থাকেন। কিন্তু স্বল্পশিক্ষিত হওয়ায় কোনো কর্মসংস্থান করতে পারেননি দিপক। দিপকের বাবা সামান্য একজন মাছ বিক্রেতা হওয়ায় তার একার উপার্জনে সংসার চলছিল না।

শুক্রবার ভোররাতে বাড়ির পাশের একটি কাঁঠালগাছে স্ত্রীর শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে তারা আত্মহত্যা করেন। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। আওয়ামীলীগের স্বৈরাতান্ত্রিক শাসনামলে সরকারের ব্যর্থতায় বেকারত্বের পরিমাণ বাড়ছেই। তার কিছু খচিত্র আমরা দেখি। 

চিকিৎসক, প্রকৌশলীরাই বেশি বেকার
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে সবচেয়ে বেশি বেকার চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা। আর বেকারত্বের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে আছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা।
৭ মার্চ ২০১৪/ প্রথম আলো 

আগামী বছর দেশে বেকারের সংখ্যা হতে পারে ৩৩ লাখ
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন অন্বেষণের হালনাগাদ প্রতিবেদন পূর্বাভাস দিয়েছে যে যদি দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধিতে গত এক দশকের গঙহার বজায় থাকে, তাহলে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩৩ লাখে দাঁঙাতে পারে
২৬ মে ২০১৪/ প্রথম আলো 

হার বেড়েছে বেকারত্বের
দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে। বেকারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৩০ হাজারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বব্যাংকের কারিগরি সহযোগিতায় ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্তজরিপ করে বিবিএস। এটিই ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রথম শ্রমশক্তি জরিপ।
২১ জানুয়ারি ২০১৬/ সমকাল 

দুই বছরে কর্মসংস্থান মাত্র ৬ লাখ
দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কর্মসংস্থান না বাড়ার কারণেই বেকারত্ব বেড়েছে। বর্তমানে দেশে ২৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বেকার। বেকারের এই সংখ্যা গত দেড় দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

বেকারের এ হিসাব সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। বিবিএসের হিসাবে, গত দুই বছরে দেশে প্রতিবছর গড়ে মাত্র তিন লাখ নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে। অর্থাৎ সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক কর্মসংস্থানের দাবি করলেও পরিসংখ্যান তা বলছে না। যেমন চলতি অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় প্রতিবছর গড়ে ১৩ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার কথা বলা আছে।
৮ এপ্রিল ২০১৬/ প্রথম আলো 

বাংলাদেশে বেকারের হার বেশি
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বেকারত্বের হার বাংলাদেশেই বেশি। ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভুটান এ হার কমিয়ে এনেছে। ভারতে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেড়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালে
২৪ জানুয়ারি ২০১৮/ প্রথম আলো 

বেকারত্ব বৃদ্ধি
দেশে গত এক বছরে মোট বেকারের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ বেড়ে গেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯০ হাজার। এক বছরেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। আর শতকরা হারে সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব রয়েছে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে। প্রাথমিক শিক্ষা আছে এমন লোকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ, কিন্তু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন এমন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ যিনি যত বেশি শিক্ষা গ্রহণ করছেন, তাঁর বেকার হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
২৩ মার্চ ২০১৮/ প্রথম আলো

চার কোটি ৮২ লাখ প্রকৃত বেকার
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে মোট কর্মোপযোগী মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৯১ লাখ। এর মধ্যে কর্মে নিয়োজিত ৬ কোটি ৮ লাখ মানুষ। বাকি ৪ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মানুষ কর্মক্ষম তবে শ্রমশক্তির বাইরে। এর মধ্যে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত নারী-পুরুষ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইএলও’র সংজ্ঞার মধ্যে না পড়লেও বাংলাদেশে এরাই হচ্ছে প্রকৃত বেকার।
২৮ মার্চ ২০১৮/ যুগান্তর 

বেকারের ৪০ শতাংশই শিক্ষিত
শ্রমশক্তি ২০১৬-১৭ জরিপে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পাস তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ৬ লাখ ৩৮ হাজার তরুণ-তরুণী কোনো কাজ পাননি। তাঁরা আর পড়াশোনা করতে চান না, কাজ করতে চান। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ৪ লাখ ৫ হাজার লোক এখনো পছন্দ অনুযায়ী কাজ পাননি। স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ১১ দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি, এমন মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম, মাত্র ৩ লাখ।
৯ এপ্রিল ২০১৮/ প্রথম আলো 

দেশে বেকারত্ব মহামারিতে রূপ নিয়েছে
দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। গোটা শিল্পব্যবস্থা সংকীর্ণতর হচ্ছে। মোট দেশজ উৎপাদন-(জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। এখন এদেশের শিক্ষিত তরুণ আর মান সম্পন্ন কাজ নয়, কোনো রকমে একটা কাজ চায়। কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগে বন্ধ্যাত্বের কারণে সে আশায়ও গুড়ে বালি। প্রতিবছর হু হু করে বেকারত্ব বাড়লেও সরকার এ সংখ্যা নিয়েও লুকোচুরি খেলছে। সরকার কর্মসংস্থানের যে গোজামিলের ফিরিস্তি তুলে ধরছে বাস্তবের সাথে তার কোনো মিল নেই। সকল পরিসংখ্যান বলছে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
২৫ জুলাই ২০১৮/ সংগ্রাম 

বেকারদের থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করছে সরকার
বেকারত্ব একটি অভিশাপ। আর এই বেকারত্বকে পুঁজি করেই শত শত কোটি টাকা আয় করছে সরকার। বিভিন্ন সংস্থা বা বিভাগ থেকে নিয়োগ পরীক্ষার নামে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের ফি। আর বেকার জনশক্তি একটি চাকরি পাওয়ার আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। একটি আসনের বিপরীতে শতসহস্র প্রার্থী আবেদন করছেন। এ সুযোগই নিচ্ছে সরকারি সংস্থা বা বিভাগগুলো। দেখা গেছে,এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ২৪ লাখ এক হাজার ৫৯৭ প্রার্থী।
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ যুগান্তর 

আইএলওর প্রতিবেদন : তরুণ বেকারের হার ৭ বছরে দ্বিগুণ
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছেই। মাত্র সাত বছরে এই হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, উচ্চশিক্ষা এখন আর কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। তরুণেরা যত বেশি পড়ালেখা করছেন, তাঁদের তত বেশি বেকার থাকার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। দেশে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। আইএলও প্রতবিদেন: করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে তরুণ প্রজন্ম। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশই বেকার হয়েছেন। করোনার কারণে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার দ্বিগুণ হয়েছে। 
১৮ নভেম্বর ২০১৮/ প্রথম আলো

বেকারত্ব বাড়ছেই
এশীয় প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের ২৮টি দেশের বেকারত্ব, তরুণদের কর্মসংস্থান, নিষ্ক্রিয় তরুণের হার, আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, কর্মসন্তুষ্টি ইত্যাদি নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। আর বেকারির দিক থেকে বাংলাদেশ আছে ২৭ নম্বরে। 
২০ নভেম্বর ২০১৮/ প্রথম আলো 

মানসম্মত শিক্ষা বনাম বেকারত্ব
বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্বের হার বাড়ছে। মাত্র সাত বছরে এ হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আইএলও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি। ২০০০ সালে বাংলাদেশে সার্বিক বেকারত্বের হার ছিল ৩.৩ শতাংশ। ২০১০ সালে তা ৩.৪ শতাংশে দাঁড়ায়। ২০১৩, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে এই হার হয় ৪.৪ শতাংশ। বাংলাদেশে পুরুষ বেকারের হার ৩.৩ ও নারী বেকারের হার ১২.৮ শতাংশ। সবচেয়ে বড় বিষয় হল, উচ্চশিক্ষা এখন আর কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাংলাদেশে ১০.৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৬.৮ শতাংশ, ভারতে ৮.৪ শতাংশ, মিয়ানমারে ২.৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৪.১ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৪ শতাংশ।
২৫ জানুয়ারি ২০১৯/ যুগান্তর 

বেকার তরুণ সমাজ
দেশি-বিদেশি সব জরিপই সাক্ষ্য দিচ্ছে যে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার বেশি। এর অর্থ হলো রাষ্ট্র তরুণ–তরুণীদের উচ্চশিক্ষা দিয়েও কাজে লাগাতে পারছে না। অথচ তাঁদের পেছনে শুধু পরিবারের নয়, রাষ্ট্রেরও বিরাট অঙ্কের অর্থ ব্যয় হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, এ সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাহলে আমরা কোথায় চলেছি তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। সরকার মুখে বলে তারুণ্যই শক্তি। কিন্তু অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনায় তাঁদের স্থান নেই। এভাবে আমাদের টেকসই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা কত দিন সম্ভব?
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ প্রথম আলো 

উচ্চশিক্ষিতদের বেকারত্ব
বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। বেকারত্বের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ডিঙানো চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে দিনমজুরদের সমান আয়ের চাকরি পাওয়াও দুরূহ হয়ে উঠছে। নিয়োগদাতারা উচ্চ বেকারত্বকে যথেচ্ছতা প্রদর্শনের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গড়ে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে নামমাত্র বেতন দিয়ে। ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টের ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জন স্নাতক ডিগ্রিধারী তরুণ-তরুণীর মধ্যে ৪৭ জন বেকার। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, বেকারের মধ্যে চিকিৎসক-প্রকৌশলীদের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। নারী চিকিৎসক-প্রকৌশলীর মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ৩১ শতাংশ।
৮ মার্চ ২০১৯/ বাংলাদেশ প্রতিদিন 

বেকারত্ব উদ্বেগজনক সমস্যা
দিন দিন বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার বাড়ছে। মাত্র সাত বছরে এ হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। ধরন অনুসারে বেকারত্বকে বেশ কয়েকটি শ্রেণিবিভাগ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে স্থায়ী বেকারত্ব, অস্থায়ী বেকারত্ব, সাময়িক বেকারত্ব, মৌসুমি বেকারত্ব ইত্যাদির কথা বলা যায়। যে ধরনের বেকারত্বই হোক, এ পরিস্থিতি ব্যক্তি তো বটেই; পরিবার, দেশ, জাতির জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা।
৯ মার্চ ২০১৯/ আলোকিত বাংলাদেশ 

বেকারত্ব এক অভিশাপ
দিন দিন ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে বেকারত্বের সংখ্যা। বেকারত্ব এখন এক গভীর ও জাতীয় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কাজ-কর্মহীন এই বিশাল উদ্বৃত্ত জনশক্তি পারছে না দেশের অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখতে, পারছে না নিজের মতো সুন্দর-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে। বেকারত্বের অসহ্য যন্ত্রণায় তারা জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে।
১০ মার্চ ২০১৯/ প্রথম আলো 

বাড়ছে শিক্ষিত বেকার
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিতের হার বাড়ছে স্পুটনিক গতিতে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাংশ তাদের নামমাত্র বেতন দিয়ে কাজ করাচ্ছে। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্তখাটিয়ে যে বেতন দেওয়া হচ্ছে তা সরকারি প্রতিষ্ঠানের পিয়নের চেয়েও কম। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বেকারের হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষিতের মধ্যে বেকারত্ব ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় ২৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২১ আগস্ট ২০১৯/ বাংলাদেশ প্রতিদিন 

বেকারত্ব সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি
দেশে উচ্চশিক্ষিতের হার বাড়ছে স্পুটনিক গতিতে। একইসঙ্গে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর একাংশ তাদের নামমাত্র বেতন দিয়ে কাজ করাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বেকারের হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষিতের মধ্যে বেকারত্ব ১০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় ২৮টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ যুগান্তর 

গ্রামাঞ্চলে বেকারত্ব
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের ফল বলছে, দেশের গ্রামাঞ্চলে প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী আছেন, যাঁরা কাজ খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। সংখ্যাটি নেহাত কম নয়, জনশক্তি হিসেবে বিবেচনা করলে এর মোট উৎপাদনক্ষমতা জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান যোগ করতে পারে। কিন্তু কর্মসংস্থানের অভাবে এই তরুণ-তরুণীদের জীবনের সবচেয়ে উৎপাদনশীল বয়সেই বেকার থাকতে হচ্ছে। এটা তাঁদের জন্য দুঃখ ও হতাশার বিষয়; তাঁরা নিজেদের পরিবারের কাঁধে অর্থনৈতিক চাপের বোঝা ভেবে দুঃখ পান ও গ্লানিতে ভোগেন। এটা জাতীয় অর্থনীতির জন্য বড় লোকসানের বিষয়ও বটে।
৬ অক্টোবর ২০১৯/ প্রথম আলো 

বেকারত্ব: কোন পথে বাংলাদেশ?
আগ্রহ ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোনো কর্মক্ষম ব্যক্তির কাজ খুঁজে না পাওয়ার পরিস্থিতিকে বলা হয় বেকারত্ব। ধরন অনুসারে বেকারত্বকে বেশ কয়েকটি শ্রেণীবিভাগ করা হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে স্থায়ী বেকারত্ব, অস্থায়ী বেকারত্ব, সামযড়ক বেকারত্ব, মৌসুমি বেকারত্ব ইত্যাদির কথা বলা যায়। যে ধরনের বেকারত্বই হোক, এই পরিস্থিতি ব্যক্তি তো বটেই, পরিবার, দেশ, জাতির জন্য একটি ভয়াবহ সমস্যা। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশেও এই সমস্যা প্রকটভাবেই বিদ্যমান।
২৬ অক্টোবর ২০১৯/ বশযড়হবঃধ.পড়স/

শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এক-তৃতীয়াংশই বেকার
কমপক্ষে মাধ্যমিক পাস, এমন শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এক-তৃতীয়াংশই বেকার। তাঁরা কোনো কাজ করেন না কিংবা পড়াশোনাও করেন না। শিক্ষিতদের মধ্যে সার্বিকভাবে ৪৮ শতাংশ পূর্ণকালীন কাজ করেন। ১৮ শতাংশের বেশি খন্ডকালীন কাজে নিয়োজিত। আর ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ বেকার। সব মিলিয়ে শিক্ষিতদের ৫৫ শতাংশ বেতনভোগী কর্মজীবী। গ্রামের চেয়ে শহরে বেতনভোগীর সংখ্যা বেশি। সর্বোচ্চ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে প্রায় ৫৬ শতাংশ চাকরি করেন।
২ ডিসেম্বর ২০১৯/ প্রথম আলো 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন