২১ জুন, ২০১৯

আল্লাহর রাসূল সা.-এর দৃষ্টিতে 'খারেজি'



আবু বকর জাকারিয়াসহ কিছু সালাফী কথিত আলিম তবে তাদের ভূমিকা জালিমের মতো তারা ইখওয়ানুল মুসলেমিন ও জামায়াতে ইসলামীর লোকদের খারেজী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই প্রসঙ্গে আমি কিছু বলবো না। তবে আমাদের প্রিয় রাসুল সা. এর কথা অনুসারে খারেজীদের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। এতে আপনারা বুঝতে পারবেন কারা খারেজী হতে পারে এবং জামায়াত-ইখওয়ান আসলে খারেজী দল কিনা।

শাব্দিক অর্থে ‘খারেজী’ শব্দটি আরবী ‘খুরূজ’ (الخروج) শব্দ হ’তে এসেছে, যার অর্থ ‘বের হওয়া বা বেরিয়ে যাওয়া’। বহুবচনে ‘খাওয়ারিজ’ ব্যবহৃত হয়। পারিভাষিক খারেজী হ’ল- ‘এমন ব্যক্তি বা দল যে বা যারা এমন হক ইমামের (শাসক) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, যাকে লোকেরা ইমাম হিসাবে স্বীকার করে নিয়েছে। ইবনু হাযম আন্দালুসী (রহ.)-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ‘খারেজী বলতে প্রত্যেক এমন সম্প্রদায়কে বুঝায় যারা চতুর্থ খলীফা আলী (রা.)-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারীদের মতামত কিংবা তাদের রায় অবলম্বনকারী, তা যেকোন যুগেই হোক না কেন’।

খারেজীদের ব্যাপারে রাসূল সা. যা বলেছেন :
‘আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি যে, শেষ যামানায় এমন একদল মানুষের আবির্ভাব হবে, যারা হবে কমবয়স্ক এবং যাদের বুদ্ধি হবে স্বল্প। ভাল ভাল কথা বলবে, কিন্তু তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তাদের ঈমান গলার নিচে পৌঁছবে না। (বুখারী- ৫০৫৭)

১- বয়স কম। 
২- প্রজ্ঞা, বুদ্ধি ও হিকমাহ থাকবে না। 
৩- উত্তম কথা বলবে, হক কথা বলবে। 
৪- তারা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। তারা কিছু অংশ মানবে কিছু মানবে না।

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছি, ভবিষ্যতে এমন সব লোকের আগমন ঘটবে, যাদের সলাতের তুলনায় তোমাদের সলাতকে, তাদের সওমের তুলনায় তোমাদের সওমকে এবং তাদের ‘আমালের তুলনায় তোমাদের ‘আমালকে তুচ্ছ মনে করবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নিচে (অর্থাৎ অন্তরে) প্রবেশ করবে না। এরা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনভাবে নিক্ষিপ্ত তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। (বুখারী-৫০৫৮)
এখানে কিছু বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।

৫- তাদের সালাত ও সিয়াম সুন্দর হবে। তারা ইবাদতে খুব নিষ্ঠাবান হবে।
৬- তারা কুরআন পাঠকারী হবে, তবে কুরআন বুঝতে তারা সক্ষম হবে না। ইলমগত দৈন্যতা থাকবে।

আবূ সা’ঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল সা. কিছু গনিমতের মাল বন্টন করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি এসে বললো, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় করুন। ইনসাফ করুন। তখন তিনি বললেন, আমিই যদি নাফারমানী করি তাহলে আল্লাহর আনুগত্য করবে কে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীবাসীর উপর আমানতদার বানিয়েছেন আর তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না। তখন এক ব্যক্তি তাঁর নিকট তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইল। [আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বলেন] আমি তাকে খালিদ ইবনু ওয়ালিদ (রাঃ) বলে ধারণা করছি। কিন্তু নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নিষেধ করলেন। অতঃপর অভিযোগকারী লোকটি যখন ফিরে গেল, তখন নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এ ব্যক্তির বংশ হতে বা এ ব্যক্তির পরে এমন কিছু সংখ্যক লোক হবে তারা কুরআন পড়বে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। দ্বীন হতে তারা এমনভাবে বেরিয়ে পড়বে যেমনি ধনুক হতে তীর বেরিয়ে যায়। তারা ইসলামের অনুসারীদেরকে (মুসলিমদেরকে) হত্যা করবে আর মূর্তি পূজারীদেরকে হত্যা করা হতে বাদ দেবে। আমি যদি তাদের পেতাম তাহলে তাদেরকে আদ জাতির মত অবশ্যই হত্যা করতাম। (বুখারী- ৩৩৪৪) ইবনে তাইমিয়্যাহ বলেনঃ খারেজীদের সবচেয়ে মারাত্মক যে দোষ মহানবী (সা) বর্ণনা করেছেন তা হলো তারা ইসলাম পন্থীদের হত্যা করবে, এবং মূর্তিপূজকদের ছেড়ে কথা কথা বলবে। (মাজমূ’, ২৮/৫২৮) ইমাম কুরতবী বলেনঃ তারা মুসলিমদের কাফির সাব্যস্ত করে যখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে, তাদের রক্ত তখন তারা হালাল মনে করবে, আর ঐ দেশের কাফির জনশক্তিকে ছেড়ে দেবে। (আল মুফহিম, ৩/১১৪)

৭- তাদের আদব জ্ঞান থাকবে না। যার তার ভুল ধরবে অযথা। সবসময় নিজেদের সহীহ মনে করবে। অন্যদের বাতিল মনে করবে। 
৮- তারা ইসলামের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। মুরশিকদের বিরুদ্ধে তাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না।

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, শেষ যমানায় এ উম্মাতের মধ্যে একটি সম্প্রদায় আবির্ভূত হবে, যারা কুরআন পড়বে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নিচে যাবে না। তাদের চিহ্ন হবে মুণ্ডিত মাথা। ইবনে মাজাহ- ১৭৫

৯- তাদের অনেকের মাথা মুন্ডানো থাকবে।

মহানবী (সঃ) বলেছেনঃ এরা এমন হবে যে মানুষদের বিস্মিত করাবে, এবং তারা নিজদের নিয়েই গর্ব বোধ করবে। (আহমাদ, ১২৯৭২, আলবানী হাদীসকে সাহীহ বলেছেন)।

১০- তাদের মধ্যে ইবাদতের অহংকার থাকবে।


আল্লাহর রাসূলের ভাষা অনুসারে এখানে প্রায় দশটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এখানে কিছু ভালো গুণ রয়েছে। এর মানে এই না যে আমরা ভালো গুণগুলো অর্জন করবো না। যখন কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী উম্মাহর মধ্যে ফিতনা সৃষ্টি করবে, নিজেদের ছাড়া সবাইকে বাতিল বলবে, জাহান্নামী বলবে তখন আমরা খেয়াল করবো তাদের মধ্যে উপরোক্ত ভালো গুণগুলো আছে কিনা। যদি সব মিলে যায় তাহলে আমরা তাদের খারেজি হিসেবে ধারণা করতে পারবো।


খারেজী যেভাবে সৃষ্টি হয়েছিলো
আলী (রা.)-এর শাসনামলে খলীফা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুনাফিক ও খারেজীদের চক্রান্তে মুসলমানরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এক দল আলী (রা.)-এর এবং অন্য দল মু‘আবিয়া (রা)-এর পক্ষাবলম্বন করে। ক্রমে অবস্থা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যায়। অবশেষে ৬৫৭ সালের জুলাই মাসে ‘সিফ্ফীন’ নামক স্থানে আলী (রা.)-এর সাথে মু‘আবিয়া (রা.)-এর যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধকালে সমস্যার সমাধানের লক্ষে দু’জন বিচারক নির্ধারণ করা হয় এই মর্মে যে, তারা দু’জনে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের জন্য যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা উভয় পক্ষ মেনে নিবে। আলী (রা.)-এর পক্ষ থেকে আবু মূসা আশ‘আরী (রা.) এবং মু‘আবিয়া (রা.)-এর পক্ষ থেকে আমর ইবনুল আস (রা.)-কে নির্ধারণ করা হয়। ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে ‘তাহকীম’ বা সালিস নির্ধারণ নামে পরিচিত। 

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর শাম ও ইরাকের সকল সাহাবীর ঐক্যমতে বিচার ব্যবস্থা পৃথকীকরণ এবং আলী (রা.)-এর কুফায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে তখনই আলী (রা.)-এর দল থেকে কিছু লোক বের হয়ে যায় এবং ‘হারুরা’ নামক প্রান্তরে এসে অবস্থান করে। তাদের সংখ্যা মতান্তরে ৬, ৮, ১২ অথবা ১৬ হাজার হবে। বিচ্ছিন্নতার সংবাদ পেয়ে আলী (রা.) দূরদর্শী সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.)-কে তাদের নিকট প্রেরণ করেন। তিনি তাদের সংশয়গুলিকে বিচক্ষণতার সাথে খন্ডন করায় বেরিয়ে যাওয়াদের মধ্য থেকে প্রায় ৪ অথবা ৬ হাযার লোক আলী (রা.)-এর আনুগত্যে ফিরে আসেন। অতঃপর আলী (রা.) কুফার মসজিদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলে মসজিদের এক কোনায় ‘লা হুকমা ইল্লা লিল্লাহ’ ‘আল্লাহর হুকুম ছাড়া কারো হুকুম মানি না’ স্লোগানে তারা মসজিদ প্রকম্পিত করে তুলে। তারা আলী (রা.)-কে উদ্দেশ্য করে বলে যে, আপনি বিচার ব্যবস্থা মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন! অথচ বিচারের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ্। আপনি সূরা আন‘আমের ৫৭নং আয়াত (ان الحكم الا لله) ‘আল্লাহ ব্যতীত কারো ফায়সালা গ্রহণযোগ্য নয়’-এর হুকুম ভঙ্গ করেছেন। আল্লাহর বিধানের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের জন্য আপনি মুশরিক হয়ে গেছেন ইত্যাদি।

তাদের মতে আলী, মু‘আবিয়া, আমর ইবনুল আসসহ সালিশ সমর্থনকারী সকল সাহাবী কুফরী করেছেন এবং কাফের হয়ে গেছেন। অথচ সত্য হ’ল, মানুষের বিচারের জন্য মানুষকেই বিচারক হতে হবে। আর বিচার হবে আল্লাহর আইন অনুসারে।

খারেজীরা নিজেদের এই নির্বুদ্ধিতাকে ধর্মীয় গোঁড়ামিতে রূপ দান করে এবং মুসলমানদের মাঝে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সূচনা করে। আলী (রা.) তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমাদের ব্যাপারে আমরা তিনটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১. তোমাদেরকে মসজিদে আসতে আমরা নিষেধ করব না ২. রাষ্ট্রীয় সম্পদ হ’তে আমরা তোমাদের বঞ্চিত করব না ৩. তোমরা আগে ভাগে কিছু না করলে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না।

কিছুদিন পর তারা সাধারণ মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে শুরু করে। তখন আব্দুল্লাহ বিন খাব্বাব (রা.) রাসূল (সা.)-এর ফিতনা সংক্রান্ত হাদীস শুনালে তারা তাঁকে হত্যা করে। তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকেও হত্যা করে। আলী (রা.) জিজ্ঞেস করেন, ‘আব্দুল্লাহকে কে হত্যা করেছে? জবাবে তারা ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করে বলে, আমরা সবাই মিলে হত্যা করেছি। এরপর আলী (রাঃ) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্ত্ততি নেন। যুদ্ধের আগে তিনি নিজে ইবনু আববাস ও আবু আইয়ূব (রা.) সহ তাদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করেন এবং তাদের বিভ্রান্তিগুলো দূর করে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।

নাহরাওয়ানের যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া খারেজীরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ প্রস্ত্ততি গ্রহণ করে। অতঃপর তারা আলী (রা.)-কে হত্যা করার জন্য গোপনে আব্দুর রহমান বিন মুলজামকে ঠিক করে। অনুরূপভাবে মু‘আবিয়া (রা.)-এর কে হত্যা করার জন্য বারাক বিন আব্দুল্লাহকে এবং আমর ইবনুল আস (রা.)-কে হত্যা করার জন্য আমর বিন বাকরকে নির্বাচন করে। এভাবে তারা একইদিনে হত্যা করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে পড়ে। আব্দুর রহমান বিন মুলজাম তার দু’জন সহযোগী ওরদান ও শাবীবকে সঙ্গে নিয়ে ৪০ হিজরীর ১৭ রামাযান জুম‘আর রাতে কুফায় গমন করে। ফজরের সময় আলী (রা.)-এর বাড়ীর দরজার আড়ালে অস্ত্র নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। তিনি বাড়ী থেকে বের হয়ে যখন ‘সালাত’ ‘সালাত’ বলে মানুষকে ডাকতে ডাকতে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই তারা আলী (রাঃ)-এর মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে তাঁর দাড়ি রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আলী (রা.)-কে লক্ষ্য করে ঐ রক্তপিপাসু বলেছিল,لا حكم إلا لله ليس لك يا علي ولا لأصحابك، ‘হে আলী! আল্লাহ ছাড়া কারো বিধান নেই। তোমার জন্যও নেই এবং তোমার সাথীদের জন্যও নেই হে আলী’। তাকে হত্যা করার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলে উঠে,شحذته أربعين صباحا وسألت الله أن أقتل به شر خلقه ‘আমি চল্লিশ দিন যাবৎ তরবারিকে ধার দিয়েছি এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছি, আমি যেন এই অস্ত্র দ্বারা তাঁর সৃষ্টির মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারি’ (নাঊযুবিল্লাহ্)।

আলী (রা.) বলেছিলেন, আমি মারা গেলে তোমরা তাকে হত্যা করবে। আর বেঁচে থাকলে আমিই যা করার করব। কিন্তু তিনদিন পর ৪০ হিজরীর ২১শে রামাযান ৬৩ বা ৬৪ বছর বয়সে তিনি শাহাদতবরণ করেন। ঐ দিন একই সময় মু‘আবিয়া (রা.)-কে আঘাত করলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। আমর ইবনুল আস (রা.) ভীষণ অসুস্থ থাকায় তিনি সেদিন মসজিদে আসতে পারেননি। ফলে তিনি বেঁচে যান। তবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত ইমাম খারেজাহ ইবনু আবী হাবীবাকে ঐ ঘাতক হত্যা করে। এভাবেই খারেজীরা খুলাফায়ে রাশেদার মত জান্নাতী ও বিশিষ্ট ছাহাবীগণের প্রাণনাশ ঘটিয়ে ইসলামের সোনালী ইতিহাসকে কলংকিত করে।



বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেসব আলেম মুসলিমদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ফতোয়া দিবে অথচ ভারতীয় মুশরিকদের হত্যাকাণ্ড, অন্যায় ও আগ্রাসনের ব্যাপারে তাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না তখন আপনারা সহজে বুঝে নিবেন তারা খারেজি।

তবে আমরা কখনোই কাউকে খারেজি বলবো না। আমরা চেষ্টায় রত থাকবো যাতে করে তারা ফিরে আসে। উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। আল্লাহ্‌ আমাদের তার অনুগত গোলামদের অন্তর্ভুক্ত রাখুন। আমীন।

২টি মন্তব্য: