২৫ নভে, ২০২০

ধন-সম্পদে উন্নতি কখনোই সফলতার মানদণ্ড নয়


মিশরে বাস করতো হজরত মুসা আ.-এর চাচাতো ভাই। তার গলার স্বর ছিল খুবই মিষ্ট। সে সুমিষ্ট সুরে তাওরাত পাঠ করতেন। তার সাথে মুসা আ.-এর সখ্যতা ছিল অপরাপর বনী ইসরাঈলের মতোই উত্তম। কারণ মুসা আ. তাদেরকে ফিরাউনের হাত হতে রক্ষা করেছিলেন। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা তাকে অনেক বেশি ধনসম্পদ দিয়ে অনুগ্রহ করেছেন ও পরিক্ষা করেছেন। 


কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুসা আ.-এর চাচাতো ভাই মুনাফিকে পরিণত হয়েছে। সে বড় সম্পদশালী ছিল বলে সম্পদের গর্বে গর্বিত হয়েছিল এবং তার সৃষ্টিকর্তার শক্তি সম্পর্কে বেখবর হয়ে পড়েছিল। মহান রবের দেওয়া ছাড়কে সে আল্লাহর দুর্বলতা ভেবে ভুল করেছিল। তার জাতির মধ্যে সাধারণভাবে যে পোশাক প্রচলিত ছিল, সে তার চেয়ে অর্ধহাত লম্বা করে পোষাক বানিয়েছিল, যাতে তার গর্ব ও ঐশ্বর্য প্রকাশ পায়। 


তার এতো বেশি ধন-সম্পদ ছিল যে, তার কোষাগারের চাবিগুলো উঠাবার জন্যে শক্তিশালী লোকদের একটি দল নিযুক্ত ছিল। তার অনেকগুলো কোষাগার ছিল এবং প্রত্যেক কোষাগারের চাবি ছিল পৃথক পৃথক। যখন ঐ চাবিগুলো বহন করার প্রয়োজন হতো তখন এর জন্যে ৬০ টি খচ্চর নির্ধারিত থাকতো। অর্থাৎ ৬০ টি খচ্চর শুধুমাত্র তার কোষাগারের চাবি বহন করতো! 

মুসা আ. তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে সাদাকার কথা বলতেন। তাকে দান করতে বলতেন। তার সম্পদে দরিদ্রের হক আছে বলে তাকে স্মরণ করিয়ে দিতেন। কিন্তু সে সম্পদ দান করতে চাইতো না। এক পর্যায়ে সে মুসা আ.-এর কাছে তার উত্তরসূরি হওয়ার আবদার করলো। সে মুসা আ.-কে বললো আমি সম্পদশালী, প্রভাবশালী। অতএব তুমি যদি আমাকে নবী হিসেবে মনোনয়ন দাও তবে আমি তোমার কথামতো সম্পদ দান করবো। 


মুসা আ. তাকে বুঝাতে চাইলেন, নবী হওয়া নিজের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয়। মহান রব যাকে চাইবেন কেবল তিনিই নবী হবেন। মুসা আ.-এর অব্যাহত নসীহতে সে খুবই বিরক্ত হতো। তাই মুসা আ. থেকে বাঁচার জন্য সে ফন্দি আঁটলো। সে মুসা আ.-এর চরিত্র হনন করতে চাইলো এবং এর মাধ্যমে মুসা আ.-কে বনী ইসরাঈল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলো।


সে এক এক ব্যভিচারিণী নারীকে বহু সম্পদ ঘুষ দিয়ে এই কাজে প্ররোচিত করে যে, যখন মুসা আ. বনী ইসরাঈলের সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা'আলার কিতাব পাঠ করতে শুরু করবেন ঠিক ঐ সময়ে যেন সে জনসম্মুখে বলে, “হে মুসা! তুমি আমার সাথে এরূপ এরূপ করেছো। তুমি তো চরিত্রহীন” কারূনের এই কথামত ঐ স্ত্রীলোকটি তা-ই করে। অর্থাৎ কারূনের শিখানো কথাই বলে। তার একথা শুনে হযরত মুসা আ. কেঁপে ওঠেন এবং তৎক্ষণাৎ দু'রাকআত নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।


এরপর ঐ স্ত্রীলোকটির দিকে মুখ ঘুরিয়ে বলেন, “আমি তোমাকে ঐ আল্লাহর কসম দিচ্ছি যিনি সমুদ্রের মধ্যে রাস্তা করে দিয়েছিলেন, তোমার জাতিকে ফিরাউনের অত্যাচার হতে রক্ষা করেছেন এবং আরো বহু অনুগ্রহ করেছেন, সত্য ঘটনা যা কিছু রয়েছে সবই তুমি খুলে বলো। সেই আল্লাহকে ভয় করো যিনি সবার ওপর শক্তিশালী।” 


স্ত্রীলোকটি তখন বললো, “হে মুসা! আপনি যখন আমাকে আল্লাহর কসমই দিলেন তখন আমি সত্য কথাই বলছি। আপনার চাচাতো ভাই আমাকে বহু টাকা-পয়সা দিয়েছে এই শর্তে যে, আমি যেন বলি আপনি আমার সাথে এরূপ এরূপ কাজ করেছেন। আমি আপনাকে তা-ই বলেছি। এজন্যে এখন আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তার কাছে তাওবা করছি।”

মুসা আ. আবারো আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদায় নত হন ও চাচাতো ভাইয়ের শাস্তি কামনা করেন। আল্লাহ তায়ালা তার দু'আ কবুল করেন। বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা সাচ্চা মুসলিম ছিল এবং যারা আলেম ছিল তারা তার দম্ভ এবং ঔদ্ধত্য চরম সীমায় পৌঁছতে দেখে উপদেশ দিতে লাগলেন। তারা বললেন “এতো দাম্ভিকতা প্রকাশ করো না, আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দা হয়ো না, অন্যথায় তুমি আল্লাহর কোপানলে পতিত হবে। জেনে রেখো যে, আল্লাহ দাম্ভিকদেরকে পছন্দ করেন না।” 


উপদেশদাতাগণ তাকে আরো বলতেন, “আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত যে তোমার নিকট রয়েছে তার দ্বারা রবের সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করো এবং তার পথে ওগুলো হতে কিছু কিছু খরচ করো যাতে তুমি আখিরাতের অংশও লাভ করতে পার। আমরা একথা বলছি না যে, দুনিয়ায় তুমি সুখ ভোগ মোটেই করবে না। বরং আমরা বলি যে, তুমি দুনিয়াতেও ভালো খাও, ভালো পান করো, ভালো পোশাক পরিধান করো, বৈধ নিয়ামত দ্বারা উপকৃত হও এবং ভালো বিবাহ দ্বারা জৈবিক চাহিদা নিবারণ করো। 


কিন্তু নিজের চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে তুমি আল্লাহর হক ভুলে যেও না। তিনি যেমন তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তেমনি তুমি তাঁর সৃষ্টজীবের প্রতি অনুগ্রহ করো। জেনে রেখো যে, তোমার সম্পদে দরিদ্রদেরও হক রয়েছে। সুতরাং প্রত্যেক হকদারের হক তুমি আদায় করতে থাকো। আর তুমি পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না। মানুষকে কষ্ট দেয়া হতে বিরত থাকো এবং জেনে রেখো যে, যারা আল্লাহর মাখলুককে কষ্ট দেয় এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে তাদেরকে আল্লাহ ভালবাসেন না।”


মুসা আ.-এর এই চাচাতো ভাইকে আমরা সবাই মোটামুটি জানি। তার নাম কারুন। বনী ইসরাঈলের আলেমদের উপদেশবাণী শুনে কারুন জবাব দিল, “তোমাদের উপদেশ তোমরা রেখে দাও। আমি খুব করে ভালো জানি যে, আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন আমি তার যথাযোগ্য হকদার। আর আল্লাহ এটা জানেন বলেই আমাকে এই সব দান করেছেন।” 


কারুনের এমন কথাবার্তায় মুসলিমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়লো। তারা ভাবতে লাগলো আল্লাহ সত্যিই কারুনকে নেয়ামত ও রহমত করেছেন। সাফল্য দান করেছেন। তারা অনেকেই কারুনের মতো হতে চাইলো। তার সুপ্রসন্ন ভাগ্যের প্রতি ইর্ষা করতে লাগলো। 


একদিন কারুন অতি জাঁকজমকের সাথে ও দম্ভ নিয়ে পথ চলতে শুরু করে। সে অত্যন্ত মূল্যবান পোশাক পরিহিত হয়ে একটি অতি মূল্যবান সাদা খচ্চরের উপর আরোহণ করে চলছিল। তার সাথে তার দাসগুলোও ছিল, যারা সবাই রেশমি পোশাক পরিহিত ছিল। আর অন্যদিকে হযরত মূসা আ. বনী ইসরাঈলের সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। মুসা আ. তাকে জিজ্ঞেস করেন, “হে কারুন! আজ এমন শান-শওকতের সাথে গমনের কারণ কি?” 


সে উত্তরে বলে, “ব্যাপার এই যে, আল্লাহ তোমাকে একটি নেয়ামত দান করেছেন এবং আমাকেও তিনি একটি নেয়ামত দান করেছেন। যদি তিনি তোমাকে নবুয়্যত দান করে থাকেন তবে আমাকে তিনি দান করেছেন ধন-দৌলত ও মান-মর্যাদা। যদি আমার মর্যাদা সম্পর্কে তুমি সন্দেহ পোষণ করে থাকো তবে আমি প্রস্তুত আছি যে, চলো, আমরা দু’জন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, দেখা যাক আল্লাহ কার দু'আ কবুল করেন!” কারুনের কথায় দুর্বল মুসলিমরা বিভ্রান্ত হয়।


তাই হযরত মুসা আ. কারুনের এ প্রস্তাবে সম্মত হয়ে যান এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হন। অতঃপর তিনি তাকে বলেন, “হে কারুন! আমি প্রথমে প্রার্থনা করবো, না তুমি প্রথমে করবে?” সে জবাবে বলে, “আমিই প্রথমে দু'আ করবো।” একথা বলে সে দু'আ করতে শুরু করে। কিন্তু তার দু'আ কবুল হলো না। হযরত মুসা আ. তখন তাকে বললেন, “তাহলে আমি এখন দু'আ করি?” 


সে উত্তরে বলে, “হ্যাঁ, করো।” অতঃপর হযরত মুসা আ. আল্লাহ তা'আলার নিকট দু'আ করেন, “হে আল্লাহ! আপনি জমিনকে নির্দেশ দিন যে, আমি তাকে যে হুকুম করবো তাই যেন সে পালন করে।” 


আল্লাহ তা'আলা তাঁর দু'আ কবুল করেন এবং তাঁর নিকট অহী অবতীর্ণ করেন, “হে মুসা! জমিনকে আমি তোমার হুকুম পালনের নির্দেশ দিলাম।” হযরত মুসা আ. তখন জমিনকে বললেন, “হে জমিন! তুমি কারুন ও তার লোকদেরকে ধরে ফেলো।” 


তাঁর একথা বলা মাত্রই তাদের পাগুলো মাটিতে গেঁথে যায়। তিনি আবার বলেন, “আরো ধরো।” তখন তাদের হাঁটু পর্যন্ত মাটিতে গেঁথে যায়। পুনরায় তিনি বলেন “আরো পাকড়াও করো।” ফলে তাদের কাঁধ পর্যন্ত মাটিতে গেঁথে যায়। তারপর তিনি জমিনকে বলেন, “তার সম্পদ ও তার কোষাগারও পুঁতে ফেলো।” সাথে সাথে কারুন তার দলবল, প্রাসাদ, ধন-দৌলত এবং কোষাগারসহ জমিনে দেবে গেলো। এভাবে তার ধ্বংস সাধিত হলো। জমিন যেমন ছিল তেমনই হয়ে গেল।


এই ঘটনা আল্লাহ তায়ালা সূরা কাসাসে বর্ণনা করেছেন। তিনি ৭৬ থেকে ৭৮ নং আয়াতে বলেন, 

//কারুন ছিল মুসার সম্প্রদায়ের লোক, তারপর সে নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠলো। আর আমি তাকে এতটা ধনরত্ন দিয়ে রেখেছিলাম যে, তাদের চাবিগুলো বলবান লোকদের একটি দল বড় কষ্টে বহন করতে পারতো। একবার যখন এ সম্প্রদায়ের লোকেরা তাকে বললো, “অহংকার করো না, আল্লাহ‌ অহংকারকারীদেরকে পছন্দ করেন না।

আল্লাহ তোমাকে যে সম্পদ দিয়েছেন তা দিয়ে আখেরাতের ঘর তৈরি করার কথা চিন্তা করো এবং দুনিয়া থেকেও নিজের অংশ ভুলে যেয়ো না। অনুগ্রহ করো যেমন আল্লাহ‌ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করো না। আল্লাহ‌ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদেরকে পছন্দ করেন না।”


“এসব কিছু তো আমি যে জ্ঞান লাভ করেছি তার ভিত্তিতে আমাকে দেয়া হয়েছে।” সে কি এ কথা জানতো না যে, আল্লাহ‌ এর পূর্বে এমন বহু লোককে ধ্বংস করে দিয়েছেন যারা এর চেয়ে বেশী বাহুবল ও জনবলের অধিকারী ছিল? অপরাধীদেরকে তো তাদের গোনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয় না। 


কারুনের এ উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলা আমাদের জানিয়ে, "কারুনের দাবি ভুল। সে ভেবেছিলো ধন সম্পদ তার হক। আল্লাহ তা'আলা যার প্রতি সদয় হন তাকেই তিনি সম্পদশালী করে থাকেন এটা মোটেই ঠিক নয়। তার পূর্বে তিনি তার চেয়ে বেশী শক্তিশালী ও প্রচুর ধন-সম্পদের অধিকারীকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।// 


এরপর আল্লাহ তায়ালা ৭৯ থেকে ৮৩ নং আয়াতে বলেন, 

//একদিন সে তার সম্প্রদায়ের সামনে বের হলো পূর্ণ জাঁকজমক সহকারে। যারা দুনিয়ার জীবনের ঐশ্বর্যের জন্য লালায়িত ছিল তারা তাকে দেখে বললো, “আহা! কারুণকে যা দেওয়া হয়েছে তা যদি আমরাও পেতাম! সে তো বড়ই সৌভাগ্যবান।” কিন্তু যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলতে লাগলো, “ধিক তোমাদের! আল্লাহর উত্তম প্রতিদান রেখেছেন তার জন্য যে ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, আর এ সম্পদ সবরকারীরা ছাড়া আর কেউ লাভ করে না।”


শেষ পর্যন্ত আমি তাকে ও তার গৃহকে ভূগর্ভে পুঁতে ফেললাম। তখন আল্লাহর মোকাবিলায় তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসার মতো সাহায্যকারীদের কোনো দল ছিল না এবং সে নিজেও নিজেকে সাহায্য করতে পারলো না। যারা আগে তার মতো মর্যাদা লাভের আকাংখা পোষণ করছিলো তারা বলতে লাগলো, “আফসোস, আমরা ভুলে গিয়েছিলাম যে, আল্লাহ‌ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা তার রিযিক প্রসারিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে সীমিত রিযিক দেন। যদি আল্লাহ‌ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন, তাহলে আমাদেরও ভূগর্ভে পুঁতে ফেলতেন। আফসোস, আমাদের মনে ছিল না, কাফেররা সফলকাম হয় না”


সে আখেরাতের বাসস্থান তো আমি তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেবো যারা পৃথিবীতে নিজেদের বড়াই চায় না এবং চায় না বিপর্যয় সৃষ্টি করতে। আর শুভ পরিণাম রয়েছে মুত্তাকিদের জন্যই।//


তাহলে বুঝা গেল যে, মানুষের সম্পদশালী হওয়া তার প্রতি আল্লাহর ভালবাসার নিদর্শন নয়। যে আল্লাহর প্রতি অকৃতজ্ঞ হয় এবং কুফরির উপর অটল থাকে তার পরিণাম মন্দ হয়ে থাকে। কারুনের ধারণা ছিল যে, তার মধ্যে মঙ্গল ও সততা রয়েছে বলেই আল্লাহ তা'আলা তার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। তার বিশ্বাস ছিল যে, সে ধনী হওয়ার যোগ্য। তার মতে তাকে আল্লাহ তাআলা ভাল না বাসলে এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট না থাকলে তাকে এ নিয়ামত প্রদান করতেন না। কিন্তু সেটি সঠিক ছিল না। মূলত সফলকাম তারাই যারা আল্লাহর আনুগত্য করে। নবীর আনুগত্য করে, ঈমান আনে ও ধৈর্য ধারণ করে। 


হযরত ইবনে মাসউদ রা. হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের মধ্যে চরিত্রকে ঐভাবে বন্টন করেছেন, যেমনিভাবে তোমাদের মধ্যে রিজিক বন্টন করেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ভালবাসেন তাকেও দুনিয়া (অর্থাৎ ধন-দৌলত) দান করেন এবং যাকে ভালবাসেন না তাকেও দান করেন। আর দ্বীন একমাত্র ঐ ব্যক্তিকে দান করেন যাকে তিনি ভালবাসেন।”


আমাদের বর্তমান সমাজেও আমরা সফলতার মানদণ্ড হিসেবে মনে করি দুনিয়ার ক্ষমতা, সম্পদ ইত্যাদিকে। আমরা এগুলো অর্জনের জন্য আমাদের বেশিরভাগ শ্রম বিনিয়োগ করি। অথচ মূল সফলতা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল ও আখিরাতের সাফল্য। আল্লাহ তায়ালা কুরআন থেকে হিদায়াত গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন