৩০ নভে, ২০২১

খিলাফত পর্ব-০২ : আলী রা. ও আবু বকর রা.-এর মধ্যে বিরোধ


উগ্র শিয়াদের অব্যাহত প্রচারণায় একথা সমাজে প্রচলিত হয়েছে যে, আলী রা. খলিফা হিসেবে আবু বকর রা.-কে মেনে নেন নি। তাই তিনি আবু বকর রা.-এর কাছে বাইয়াত নেননি। অতঃপর ছয় মাস পরে বাইয়াত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

অনেক বর্ণনা থেকে জানা যায় আলী রা. চল্লিশ দিন পর অথবা ছয় মাস পর বাইয়াত নিয়েছেন। ইতিহাসবিদ ও তাফসীরকারক ইবনে কাসীর তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ আল বিদায় ওয়ান নিহায়াতে এসব বর্ণনার অসারতা প্রমাণ করেছেন। [১] প্রকৃত ব্যাপার হলো আলী রা. সোমবার মহানবী সা.-এর কাছে ছিলেন। সালিম ইবনু উবাইদ রা. থেকে বর্ণিত তিনি জানিয়েছেন, আবু বকর রা. আহলে বাইতদের বিশেষত আলী রা.-কে মুহাম্মদ সা.-এর কাছে থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। [২][৩] মুহাম্মদ সা.-এর মৃত্যুর আগে যখন তিনি অসুস্থ ছিলেন তখন থেকেই আবু বকর রা. মুসলিমদের নামাজের ইমামতি ও নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তাই তিনি বনু সাঈদায় যখন আনসারদের একটা অংশ বিশৃঙ্খলা করছিল তখন তিনি সেখানে যাননি। তবে অনেকের বর্ণনা থেকে জানা যায় তিনি দাফনের আগেই এসব ঝামেলায় জড়ানো পছন্দ করেন নি। অন্যদিকে উমার রা. ও আবু বকর রা. মুসলিমদের একতা ধরে রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। সেটা ঠেকাতে গিয়েই আবু বকর রা. খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরদিন মঙ্গলবার যখন মদিনার প্রায় ৩৩ হাজার মুসলিম আবু বকর রা.-এর কাছে আনুগত্যের শপথ নিয়েছিলেন তখন সবার সাথে আলী রা. শপথ নিয়েছিলেন।[৪][৫] এই প্রসঙ্গে আবু সাঈদ খুদরি রা. বলেন, আবু বকর রা. মিম্বরে বসে প্রথমে জনতার দিকে তাকালেন। আলী রা.-কে দেখতে না পেয়ে তাঁকে ডাকলেন। না পেয়ে তাঁর বাড়িতে লোক পাঠালেন। আলী রা. মসজিদে নববিতে আসলে আবু বকর রা. তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি রাসূল সা.-এর চাচাতো ভাই ও জামাতা। আপনি কি মুসলিমদের মধ্যে অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চান? আলী রা. জবাব দিলেন, ইয়া খলিফাতুর রাসূল! আমাকে আর তিরস্কার করবেন না। এই বলে তিনি আনুগত্যের বাইয়াত নিলেন। [৬][৭] আলী রা. খিলাফতের দাবীদার ছিলেন না। তবে কেউ কেউ মনে করতেন তিনি পরিবারের সদস্য হিসেবে রাসূল সা.-এর খলিফা হওয়ার জন্য উপযুক্ত। আলী রা. সম্পর্কে ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল দুটি কারণে। প্রথমত তিনি বনু সাঈদাতে আলোচনার সময় ছিলেন না। দ্বিতীয়ত ফাতিমা রা.-এর মৃত্যুর পর পুনরায় বাইয়াত নিয়েছেন। ২য় কারণ ছিল মীরাস সংক্রান্ত জটিলতা। আলী রা. ও যুবায়ের রা. বলেন, আমরা পরামর্শ সভায় উপস্থিত হতে পারি নি। তবে আবু বকরকে এই পদের জন্য যোগ্যতম মনে করি। তাঁর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আমরা সম্যক অবগত। রাসূল সা. জীবিত থাকা অবস্থায় তাঁকে দিয়ে সালাতের ইমামতি করিয়েছেন। [৮] আলী রা. ও আবু বকর রা.-এর পরবর্তী কার্যক্রম থেকে একথা প্রমাণিত হয় যে, তিনি কখনোই খিলাফতের দাবিদার ছিলেন না। তিনি আবু বকরকে নিয়মিত পরামর্শ দিতেন। শুরায় অংশ নিতেন এবং আবু বকর রা.-এর ইমামতিতে নামাজ আদায় করতেন। আবু বকর রা. যখনই তাঁর কাছে কোনো বিষয়ে সাহায্য চাইতেন ও দায়িত্ব দিতেন তিনি নিষ্ঠার সাথে পালন করতেন। আলী রা. ছিলেন আবু বকর রা.-এর একজন উত্তম শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি আবু বকর রা. ও তাঁর খিলাফতের স্থায়িত্ব কামনা করতেন। এর একটি বড় প্রমাণ পাওয়া যায় যুলকাসসার অভিযানের সময়। আবু বকর রা. শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরপরই আবস ও যুবইয়ান গোত্রের লোকেরা বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করলে তিনি প্রতিহত করার উদ্যোগ নেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি নিজেই জিহাদের জন্য রওনা হলেন। তখন আলী রা. বলেন, হে খলিফাতুর রাসূল! আপনি কই যাচ্ছেন? আপনি তারবারি কোষবদ্ধ করুন। নিজের জীবনকে বিপন্ন করে আমাদের বিপদে ফেলবেন না। আপনি মদিনায় ফিরে যান। আল্লাহর কসম! যদি আমরা আপনার কারণে বিপদে পড়ে যাই তাহলে ইসলামে আর কখনোই শৃঙ্খলা আসবে না। [৯][১০] এরপর আবু বকর রা. নিজে অভিযান থেকে বিরত থাকেন অন্যান্য কমান্ডারদের পাঠিয়ে জিহাদ অব্যাহত রাখেন। ভন্ড নবী ও যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে আবু বকর রা.-কে নিরঙ্কুশ সাহায্য করেছেন ও যুদ্ধ করেছেন আলী রা.। তবে আলী রা. তথা নবী পরিবারের পরামর্শ ছাড়া খলিফা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় তিনি মনঃক্ষুন্ন ছিলেন। এই নিয়ে তাঁর ক্ষোভ ছিল। এটা নিশ্চিত যে খলিফা হিসেবে আবু বকর রা.-কে মান্য করতে আলী রা.-এর কোনো দ্বিধা ছিল না। যারা আলী রা.-কে নেতা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন তারাও আলী রা.-এর এই মনোভাব সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তাই তারা কখনো আলী রা.-কে খিলাফতের দাবীদার হতে বলেননি। ব্যতিক্রম ছিল আবু সুফিয়ান। তিনি মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বাধ্য হয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ওনার মধ্যে ইসলামের বেসিক শিক্ষার অভাব ছিল। তিনি একদিন আলী রা.-কে বললেন, কী অদ্ভুত কাণ্ড! কুরাইশদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ও নিম্ন গোত্রের লোকই আজ খিলাফতের অধিকারী হয়ে গেল। আল্লাহর কসম! যদি আপনি খলিফা হতে ইচ্ছে করেন তবে আমি তার বিরুদ্ধে সমগ্র মদিনা অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্য দ্বারা ভরে তুলবো। এই কথার বিপরীতে আলী রা. অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে যান। তিনি বলেন, হে আবু সুফিয়ান! তুমি তো দীর্ঘদিন ইসলামের সাথে শত্রুতা করেছিলে। কিন্তু তোমার সেই শত্রুতা ইসলামের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারেনি। মনে রেখো! আমরা আবু বকরকে খিলাফতের উপযুক্তই পেয়েছি।[১১] অন্য বর্ণনায় আছে, আবু সুফিয়ান আলী রা.-কে বললেন, হে আবুল হাসান! আপনার হাত প্রসারিত করুন। আমি আপনার কাছেই বাইয়াত হবো। এর উত্তরে আলী রা. বলেন, আল্লাহর কসম! তোমার এই কথার উদ্দেশ্যে তো কেবল মুসলিমদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। তুমি দীর্ঘদিন ইসলামের শত্রুতা করেছো। তোমার এই জাতীয় পরামর্শের আমার কোনো দরকার নেই। [১২] আবু সুফিয়ান যখন এই কথা বলছিল তখন আবু বকর রা. এর সাথে আলী রা.-এর ঝামেলা চলছিল। তারই সুযোগ হয়তো নিতে চেয়েছেন আবু সুফিয়ান। তিনি বংশ মর্যাদায় উপরে হওয়ায় আবু বকর রা.-কে নেতা হিসেবে মানতে পারেন নি। আর আলী রা.-এর সাথে ঝামেলা শুরু হয়েছে রাসূল সা.-এর উত্তরাধিকার নিয়ে। মূলত সমস্যাটা আলী রা.-এর সাথে নয়, ফাতিমা রা. ও আবু বকর রা.-এর মধ্যে। আলী রা. এখানে ফাতিমা রা.-এর পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। মুহাম্মদ সা.-এর মৃত্যুর কিছুদিন পর ফাতিমা রা. আবু বাকর রা.-এর নিকট খবর পাঠান যে, আল্লাহ তা'আলা রাসূলুল্লাহকে মাদীনায় গানীমাত হিসেবে যে সকল বস্তু দান করেছেন এবং ফাদাক ও খাইবারের এক পঞ্চমাংশের যা কিছু অবশিষ্ট রয়েছে তা থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে আমার যে প্রাপ্য, তা আমাকে প্রদান করুন। আবু বকর রা. জবাব দেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন যে, নবীদের কোনো উত্তরাধিকারী হয় না। আমরা যা ছেড়ে যাবো, তা সাদাকাহ হবে। তবে রাসূলুল্লাহ সা. পরিবারের সদস্যগণ তা থেকে গ্রহণ করতে পারবেন। আল্লাহর কসম রাসূল সা. যেভাবে বলবেন আমি তার বাইরে যেতে পারবো না। ফাতিমা রা. আবু বকর রা.-এর এই মতামত গ্রহন করেন নি। আর তিনি রাসূল সা. এর এই হাদিসের ব্যাপারে অবগত ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে আবু হুরাইরা রা. বলেন, ফাতিমা রা. আবু বকর রা. এর নিকট এসে বললেন, আপনার ওয়ারিস কে হবে? তিনি বললেন, আমার পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততি। ফাতিমা রা. বললেন, তবে আমি কেন আমার পিতার ওয়ারিস হবো না? আবু বকর রা. বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আমরা নবীরা কাউকে ওয়ারিস করি না। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের ভরণ-পোষণ দিতেন, আমি তা বহাল রাখব এবং যাদের জন্য খরচ করে গিয়েছেন, আমিও তাদের জন্য খরচ করব। [১৩][১৪] আবু বকর রা. আল্লাহর রাসূল সা.-এর সম্পদের কিছু অংশ স্ত্রী-দের খোরপোশ ও খাদেমদের জন্য রেখে বাকীটা সাদকাহ করে দিয়েছিলেন। এই নিয়ে ফাতিমা রা. মনঃক্ষুন্ন হন। তিনি আবু বকর রা.-এর প্রতি অসন্তুষ্ট হন। তিনি আবু বকর রা.-কে বর্জন করেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর সাথে আর কথা বলেননি। এই নিয়ে স্ত্রীর পক্ষাবলম্বন করেন আলী রা.। তবে তিনি কখনো আবু বকর রা.-এর সাথে এই নিয়ে কথা বলেন নি। তবে তাঁদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব ছিল। ফাতিমা রা. রাসূলুল্লাহ সা.-এর মৃত্যুর পরে ছয়মাস জীবিত ছিলেন। যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন, তখন তাঁর ওসিয়ত অনুসারে স্বামী ‘আলী রা. তাঁকে রাতের বেলা সমাহিত করে ফেলেন এবং আবু বাকর রা.-কে কোনো সংবাদ দেননি। আলী রা.-এর নেতৃত্বে কিছু নিকটাত্মীয় তার জানাযার নামায পড়েন। ফাতিমা রা.-এর মৃত্যুর পরে আলী রা. চেয়েছিলেন আবু বকর রা.-এর সাথে দূরত্ব মিটিয়ে ফেলতে। এই উদ্দেশ্যে তিনি তাঁকে নিজ বাড়িতে দাওয়াত করেন। সাথেও এটাও বলেন যেন তিনি একা আসেন। এখানে উল্লেখ্য যে, উমার রা. এসব বিষয় নিয়ে রাগান্বিত ছিলেন এবং তিনি খলিফার সবচেয়ে কাছের উপদেষ্টা ছিলেন। আলী রা. চেয়েছেন উমার রা. যেন এই মীমাংসায় না থাকে। তাঁরা দুজনই নিজেদের ব্যাপারটা ক্লিয়ার করবেন। সব বিষয় জানতে পেরে উমার রা. ভয় পেলেন। তিনি একা যেতে আবু বকর রা.-কে নিষেধ করলেন। উমার রা. আলী রা.-কে নিয়ে ভয় করছিলেন না। তিনি ভয় পাচ্ছিলেন বনু হাশিম ও বনু উমাইয়াদের থাকা তুলাকা মুসলিমদের। যারা মক্কা বিজয়ের পরে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এরা আবু বকর রা.-কে নেতা মানতে চাইছিল না। উমার রা.-এর উদ্বেগ দেখে আবু বকর রা. বললেন, আমি এ আশঙ্কা করছি না যে, তারা আমার সাথে কোনোরূপ অন্যায় আচরণ করবে। আল্লাহর কসম! আমি তাদের নিকট যাবোই। আবু বকর রা. তাঁদের কাছে গেলেন। 'আলী (রা.) প্রথমে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দিলেন, তারপর বললেন, “আমরা আপনার মর্যাদা এবং আল্লাহ তা'আলা আপনাকে যে নিয়ামত (খিলাফাত) দান করেছেন, সে ব্যাপারে অবগত আছি। আল্লাহ তা'আলা আপনাকে যে সম্মান দান করেছেন, সে জন্য আমরা হিংসা করি না। তবে এটাও ঠিক যে, আপনি খিলাফতের বিষয়টি নিজে একাই সমাধান করে নিয়েছেন। অথচ আমাদের ধারণা ছিল রাসূলের নিকটাত্মীয় হিসেবে সে প্রসঙ্গে আমাদেরও কিছু বলার অধিকার ছিল। এ কথা শুনে আবূ বাকর রা.-এর দু'চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। তারপর তিনি তার কথা শুরু করেন। তিনি বলেন, “মহান আল্লাহর শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, আমার নিজের আত্মীয়-স্বজনের চাইতেও রাসূলুয়াহ সা.-এর আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করা আমার কাছে অধিক প্রিয়। আমার ও তোমাদের মধ্যে যে সম্পদ নিয়ে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমি যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করতে কোনোরূপ ভুল করিনি এবং তাতে রাসূলুল্লাহ সা.-কে যা করতে দেখেছি, আমি কেবল তা-ই করেছি। এটা শুনে ‘আলী রা. আবু বকর রা.-কে বললেন, আপনার হাতে বাইয়াতের জন্য বিকাল বেলা নির্ধারিত হলো। আবু বকর রা. জোহরের নামায আদায় করে মিম্বারের ওপর বসলেন, তারপর শাহাদাতের বাণী পাঠ করলেন। এরপর আলী রা. ও তাঁর সাথে দূরত্বের বিষয়ে কিছু কথা বললেন। এরপর তিনি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। অতঃপর আলী রা. উঠে প্রথমে শাহাদাতের বাণী পাঠ করলেন, এরপর আবু বকর রা.-এর মর্যাদা বর্ণনা করলেন। এরপর বললেন, “আমি যা বলেছি এর অর্থ এই নয় যে, আমি আবু বকর রা.-এর সাথে কোনোরূপ বিদ্বেষ পোষণ করছি এবং আল্লাহ তা'আলা তাঁকে যে মর্যাদা দান করেছেন, তা অস্বীকার করছি। বরং প্রকৃত ব্যাপার হলো, আমরা মনে করতাম যে, খিলাফাত প্রসঙ্গে আমাদেরও কিছু বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আবু বকর রা. এ ব্যাপারটি নিজেই সমাধান করেছেন। তাই আমরা মনে দুঃখ পেয়েছিলাম।” আর নবীর মীরাসের বিষয় তো আছেই। এরপর তিনি আবু বকর রা.-এর কাছে পুনরায় বাইয়াত নিলেন এবং সকল মানসিক দূরত্বকে কবর দিলেন। উপস্থিত মুসলিমগণ আনন্দিত হয়ে বললেন, আপনি ঠিকই করেছেন। এরপর ‘আলী রা. আমর বিল মা‘রূফ-এর পানে ফিরে আসার কারণে মুসলিমগণ আবার তাঁর নিকটবর্তী হতে শুরু করলেন। [১৫][১৬] তথ্যসূত্র : ১. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া / ইবনে কাসীর / ইসলামিক ফাউন্ডেশন / ৫ম খন্ড / পৃ. ৪৭০-৪৭১ ২. সুনানে আন নাসাঈ / হাদিস নং ৭১১৯ ৩. আবূ বাকর আছছিদ্দীক / ড. আহমদ আলী / বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / পৃ. ২৩৪-২৩৫ ৪. আবূ বাকর আছছিদ্দীক / ড. আহমদ আলী / বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / পৃ. ২৩৫ ৫. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া / ইবনে কাসীর / ইসলামিক ফাউন্ডেশন / ৫ম খন্ড / পৃ. ৪৭০ ৬. মুস্তাদরাক আল হাকিম / হাদিস নং ৪৪৩১ ৭. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া / ইবনে কাসীর / ইসলামিক ফাউন্ডেশন / ৬ষ্ঠ খন্ড / পৃ. ৪৫০-৪৫১ ৮. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া / ইবনে কাসীর / ইসলামিক ফাউন্ডেশন / ৬ষ্ঠ খন্ড / পৃ. ৪৫১ ৯. আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া / ইবনে কাসীর / ইসলামিক ফাউন্ডেশন / ৬ষ্ঠ খন্ড / পৃ. ৪৭১ ১০. আবূ বাকর আছছিদ্দীক / ড. আহমদ আলী / বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / পৃ. ২৩৮ ১১. মুস্তাদরাক আল হাকিম / হাদিস নং ৪৪৩৪ ১২. আবূ বাকর আছছিদ্দীক / ড. আহমদ আলী / বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / পৃ. ২৪৪ ১৩. শামায়েলে তিরমিজি / হাদিস নং ৩০৭ ১৪. মুসনাদে আহমদ / হাদিস নং ৬০ ১৫. সহীহ বুখারি / আধুনিক প্রকাশনী ৩৯১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশন ৩৯১৭ ১৬. আবূ বাকর আছছিদ্দীক / ড. আহমদ আলী / বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার / পৃ. ২৪০-২৪২

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন