বিংশ শতাব্দি মুসলিমদের পরাজয়ের শতাব্দি। মুসলিম খিলাফত ভেঙ্গে যায়। মুসলিমরা উম্মাহকেন্দ্রীক না থেকে জাতীবাদী হয়ে পড়ে। এলাকাভিত্তিক ও ভাষাভিত্তিক অনেকগুলো রাষ্ট্র গঠিত হয়। মুসলিম রাষ্ট্রগুলো পরষ্পর দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়। এই ষড়যন্ত্রের মূল উস্কানীদাতা ছিল ইহুদীরা ও বাস্তবায়ন করেছে ইংল্যান্ড।
বিংশ শতাব্দিতে মুসলিমদের এতো সমস্যার মধ্যেও আশা জাগানিয়া ছিল ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠন। সারা পৃথিবীতে যেখানে জাতীবাদের ভিত্তিতে মুসলিমরা আলাদা হয়ে যাচ্ছিল সেখানে মুসলিম পরিচয়ের ভিত্তিতে ৭ জাতি মিলে একটি মুসলিম রাষ্ট্র গঠিত হয়।
শুরু থেকেই এই রাষ্ট্রের শক্তিশালী বিরোধী অংশ ছিল। এই রাষ্ট্র যাতে ফাংশনাল না হয় সেক্ষেত্রে এই রাষ্ট্রেরই জনশক্তিদের প্ররোচিত করতে থাকে। আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের চাওয়া ছিল এই রাষ্ট্র কোনোভাবেই যাতে ইসলামিক না হয়, এটা যাতে সেক্যুলার রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় পায়। এজন্য তারা নানা ভাবে পাকিস্তানের শাসকদের কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করেছিল।
মুসলিম পরিচয়ের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই রাষ্ট্রকে ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা শুরু থেকেই ছিল ইহুদীদের। এদিকে সারাবিশ্বে কম্যুনিজমকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল কমিউনিস্ট রাষ্ট্র রাশিয়া।
আর বলার অপেক্ষা রাখে না এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মূল ক্রীয়ানক ছিল ভারত। তারা এই রাষ্ট্রকে ভাংতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করে যাচ্ছিল। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর ভারত উপলব্ধি করে দুই পাশে পাকিস্তান রেখে চলা ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই ১৯৬৮ সালে RAW প্রতিষ্ঠা করে তাদের ১ম প্রজেক্ট দেওয়া হয় পাকিস্তান ভেঙ্গে দেওয়া।
মোটাদাগে যে চারটি রাষ্ট্রশক্তি পাকিস্তান ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত ছিল তারা হলো, ১. ভারত, ২. রাশিয়া, ৩. ইংল্যান্ড ও ৪. ইসরায়েল।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসে রাশিয়া ও ইংল্যান্ড পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলনের বিপরীতে জয় বাংলার পতাকা উত্তোলন করে। যা দ্বারা এই দুই রাষ্ট্র সরাসরি পাকিস্তান ভাঙ্গার কাজে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, চারটি রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও আদর্শ ভিন্ন হলেও প্রাথমিক টার্গেট থাকা পাকিস্তানকে দুই ভাগ করা। আর এই প্রাথমিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে তারা একত্রিত হয়ে যায়। পাকিস্তানের সাথে সিয়োটা চুক্তি ছিল আমেরিকার। এই চুক্তি অনুসারে চুক্তিবদ্ধ কোনো রাষ্ট্রে বামপন্থী রাষ্ট্র হামলা চালালে বাকীরা তাকে সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবে।
তাই ভারত এখানে রাশিয়াকে প্রাথমিকভাবে সামরিক আগ্রাসনে জড়িত না থাকার পরামর্শ দেয়। এসব নিয়ে আমি বিস্তারিত লিখেছি আমার লেখা বই বঙ্গকথা -তে। আশা করি যারা এখনো সংগ্রহ করেন নি, সংগ্রহ করবেন।
১৯৭১ সালে দেশ ভাঙ্গার পর ভারতীয় মূর্তিপূজকদের সহায়তায় এদেশের শাসক হয় শেখ মুজিব। এসেই সে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করে।
শুধু যে ইসলামপন্থীরা আক্রান্ত হয়েছে তা নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা ইসলাম বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারা ইসলামের প্রতি আক্রোশ দেখিয়েছে। যে সকল প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার নামে ইসলাম ও মুসলিম ছিল সেগুলো থেকে তারা ইসলাম ও মুসলিম শব্দ বাদ দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুসলিম বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো থেকে 'রাব্বি জিদনি ইলমা' ও কুরআনের চিহ্ন বাদ দেওয়া হয়েছে। নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ইসলাম বাদ দিয়েছে। পাবনার সেরা কলেজ ইসলামিয়া কলেজকে বুলবুল কলেজে পরিণত করা হয়েছে। এভাবে সারা বাংলাদেশে সব স্থান ইসলাম ও মুসলিমকে উৎখাত করা হয়েছে। কওমী মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের বোরকা নিষিদ্ধ করে শাড়ি পড়তে বাধ্য করা হয়েছে। এই কারনে বহু ছাত্রী একাত্তর পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে শিক্ষা নিতে যায় নি।
সংবিধান প্রণয়ন করে বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এই যে, নেজামী ইসলামী ও জামায়াতে ইসলামী এই দুইদলই ছিল সেসময় ইসলামী রাজনীতির ধারক ও বাহক। এদের নিষিদ্ধ করা হয় নাই যে, তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন। বরং তাদের এইজন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে যে, তারা ইসলামী রাজনীতি করেন। সেসময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ন্যাপ (মুজাফফর), মনি সিং এর কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় দল, কৃষক শ্রমিক পার্টি, পূর্ব-পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি, পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি এবং কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দল এই দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।
সুতরাং এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের যারা কুশীলব তাদের মূল আক্রোশ ছিল ইসলামের সাথে। এই সাধারণ ব্যাপার সেসময়ের সকল ইসলামী রাজনীতিবিদ বুঝেছিলেন এবং তারা এজন্যই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছিলেন। সেসময়ের অনেক মুসলিম না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিলো এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করুন।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও বিরাট পরিবর্তন এনেছে মুক্তিযোদ্ধারা। তারা রেডিও টেলিভিশনে বিসমিল্লাহ, সালাম দিয়ে শুরু করা বাদ দিয়ে সুপ্রভাত, শুভকামনা ইত্যাদি প্রতিস্থাপন করেছে। রেডিওতে কুরআন তিলওয়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইসলামী একাডেমি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ইসলামী একাডেমীকেই ৩ বছর পরে ইসলামী ফাউন্ডেশন নামে চালু করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আবার পুনরায় রেডিও টেলিভিশনে সালাম, বিসমিল্লাহ, আজান ও কুরআন তেলওয়াত শুরু হয়েছিল।
এইসব কাজ শেখ মুজিব তার নিজস্ব পরিকল্পনাতে করেছেন এটা আমি বলতে চাই না। মুজিব পরিবেষ্টিত ছিলেন তাজউদ্দিনদের মতো এক ঝাঁক কমিউনিস্ট দ্বারা। তার ফলে মুজিবের শাসনামলের শুরুর দিকে সমস্ত ইসলামবিরোধী কাজের জোয়ার শুরু হয়েছিল। সংবিধান থেকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাদ পড়েছে। মূলনীতি থেকে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস বাদ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে কমিউনিজম, সেক্যুলারিজমের মতো ইসলাম ও ধর্মবিদ্বেষী মতবাদকে। ক্ষমতায় থেকে ইসলামপন্থা দমনে সব কাজ করেছেন শেখ মুজিব।
অল্প কিছুদিনের মুজিবের এসব কার্যক্রমে সারাবিশ্বের কাছে এই বার্তা পৌঁছায় যে, বাঙ্গালিরা এখন আর মুসলিম নেই। তারা ভারতের সাথে মিলে মুশরিক হয়ে গেছে। সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সল অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেন, বাংলাদেশীদের জন্য হজ্ব নিষিদ্ধ। ১৯৭২ সালে ওআইসি'র সম্মেলনে যোগ দিয়েও এই সমস্যার সমাধান করতে পারে নি শেখ মুজিব।
অন্যদিকে শেখ মুজিব কমিউনিস্ট ছিল না বিধায় সে রাষ্ট্রকে কমিউনিস্ট রাষ্ট বানাতে চায় নি। তার দলের মধ্যে থাকা বামেরা তাই আলাদা হয়ে গিয়ে জাসদ গঠন করে। ৭৩ সাল থেকে শেখ মুজিবের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে ওঠে জাসদ। তখন শেখ মুজিব আবার ইসলামপন্থীদের সাহায্য পেতে চান। মাদরাসাগুলো চালু করতে চান। তাছাড়া দেশের এই অচলাবস্থায় সে মধ্যপ্রাচ্যের সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করে।
এক্ষেত্রে ভারত ও ইংল্যান্ড তাকে দুইটি আলাদা পরামর্শ দেয়। ভারতের পরামর্শ ছিল মাদরাসাগুলো চালু করার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেন হুসাইন আহমেদ মাদানীর অনুসারীদের তত্বাবধানে চালু করা হয়। হুসাইন আহমেদ মাদানী ছিলেন কংগ্রেসপন্থী মুসলিম নেতা যিনি ১৯৪৭ সালে হিন্দুদের সাথে মিলে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরোধীতা করেছিলেন। ইন্দিরার এই পরামর্শের কারণ এই আলেমরা ইন্ডিয়ার স্বার্থ সংরক্ষণ করবে।
ইংল্যান্ডের পরামর্শ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সহায়তা পাওয়ার দরকার নেই। নতুন করে হজ্ব চালু করো। তোমরা বিশ্বের লার্জেস্ট মুসলিম কান্ট্রি। তোমাদের দেশেই হজ্বের বিকল্প তৈরি করো। তাবলীগ জামায়াতের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতো কাকরাইল মসজিদকে কেন্দ্র করে রমনায়। এটা তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হতো। এই সম্মেলন ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের পরামর্শ অনুযায়ী ১৯৭৩ সাল থেকে শেখ মুজিব তথা রাষ্ট্রীয় তত্বাবধানে টঙ্গিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে থাকে। টঙ্গিতে ১৬০ একর জমি বরাদ্দ হয় এই বিশ্ব ইজতেমার জন্য। সারা পৃথিবীতে তাবলীগের কর্মীদের মাধ্যমে এই প্রচারণা চালানো হয় যে, এখানে জয়েন করলে হজ্বের সওয়াব পাওয়া যাবে।
আমার এই পুরাতন গীতের উদ্দেশ্য হলো, সব আমলেই কিছু জালিম আলিম পাওয়া যায় জালিম শাসকদের কর্মকান্ডকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। শেখ মুজিবের সময়ে এমন কিছু জালিমদের পাওয়া গেছে যারা অন্য নেজামে ইসলাম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাদ্রাসা দখল করেছে। আরো কিছু বড় আলিম নামের জালিম পাওয়া গেছে যারা বিশ্ব ইজতেমাকে হজ্বের সমান বলে ফতোয়া দিয়েছে। এখানে (টঙ্গিতে) নামাজ পড়লে মক্কায় নামাজ পড়ার চাইতেও বেশি সওয়াব হবে বলে প্রচার করেছে।
বর্তমান শেখ হাসিনার আমলেও এমন জালিমদের পাওয়া যায়। এই আমলে এতো নির্যাতন হয়েছে আলিমদের ওপরে। তারপরও হাসিনা পা চাটতে তাদের দ্বিধা হয় না। গতকাল চরমোনাইয়ের সেকেন্ড পীর ফয়জুলকে জিজ্ঞাসা করা হলো জামায়াতের ব্যাপারে তাদের মনোভাব কী? সে বললো, জামায়াতের তো নিবন্ধন নেই। হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট তাদের নিবন্ধন দেয় নি। তাই তাদের সাথে জোট বা আলোচনা চলতে পারে না।
অথচ খেয়াল করে দেখুন, কীসের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে! জামায়াত আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী মানে এজন্য। এই আলিম নামের জালিমের বলা উচিত ছিল অন্যায়ভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। একটি মুসলিম দেশে এটা চলতে পারেনা। কিন্তু জালিম আওয়ামী লীগের মতো করেই কথা বলেছে।
সম্ভবত এ কারণেই, শেষ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় সৌদি বাংলাদেশকে স্বকৃীত দেয়নি, অথচ তার মৃত্যুর কয়েকদিন পরেই সৌদি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
উত্তরমুছুনঅসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার একটা কথা আছে।
উত্তরমুছুনসৌদি আরব অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সাথে মিলে মতামত দেয় যে বাঙালীরা আর মুসলিম নেই ,মুশরিক হতে পারে। কিন্তু এটা কীভাবে হতে পারে? উল্টা তখন বাংলাদেশীরাই বেশি ইসলামিক ছিল । আপনি ৫০,৬০,৭০ দশকের ইরাক, সিরিয়া, মিশর, মরক্কো, কুয়েত এসব আরব দেশ ও ইরান, আফগানিস্তানে দেখলে পাবেন সেসময় তারা প্রচন্ড পশ্চিমা সংস্কৃতির ছিল ও স্যাকুলার ছিল । সেখানকার মানুষরা ইউরোপীয়দের মতো চলতো, মদ বৈধ একেবারে কমন ছিল, মেয়েরা মিনি স্কার্ট, বিকিনি, শর্ট ড্রেস পড়ত । অথচ তখন বাংলাদেশীরা শুধুমাত্র শাড়িই পড়তো, তাদের মতো এতো খোলামেলা পোশাক পড়ত না। তখনকার সময়ে বাংলাদেশী অভিনেত্রীরাও ওই সকল আরব দেশের মতো খোলামেলা পোশাক পড়ত না। মিশরের গামাল আব্দুল নাসের আমেরিকা, ইসরায়েল বিরোধী হলেও স্যাকুলার ছিলেন । পরবর্তীতে আনোয়ার সাদাত এসে মদ সীমিত করেন, কুরআন হাদিসের শিক্ষা রেডিও তে চালু করেন, ইসলামিক ম্যাগাজিন চালু করেন। তখনকার আরবের মানুষরা ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাতো না তেমন। শুধুমাত্র সৌদি,আরব আমিরাত,কাতার, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বাদে আর কোনো দেশেই ইসলামিক বা রক্ষনশীল সংস্কৃতি জ
ছিলনা। ৪০,৫০,৬০,৭০ দশকে ভারতের মেয়েরাও নন-গাল্ফ আরব, আফগানিস্তান, ইরানের মতো শর্ট ড্রেস পড়তে আনকমফোর্ট ফিল করতো। যেখানে খোদ মধ্যপ্রাচ্যের আরব,ইরান, আফগানিস্তানের মানুষরা এত পশ্চিমা সংস্কৃতির ছিল, সৌদি তাদেরকে কিছু না করে বাংলাদেশকে হজ্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারন কি? বাংলাদেশের কালচার অন্তত মিশর, ইরাক, সিরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান , ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া অনেক বেশি ইসলামিক ও রক্ষনশীল সংস্কৃতির ছিল, শুধুমাত্র শাড়িই পড়তো, তাদের মতো ইউরোপীয় শর্ট ড্রেস, মিনি স্কার্ট, বিকিনি পড়তো না কখনোই। এমনকি সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, বাহরাইনেও পশ্চিমা সংস্কৃতির ধাচ ছিল । খোদ বাদশাহ ফয়সালের স্ত্রী ও বিয়ের সময় পশ্চিমা পোশাক পড়ছিল । বাহরাইন সহ অন্যান্য আরবদের বিয়ের সময়ও মেয়েরা স্লিভলেস ড্রেস, মিনি স্কার্ট পড়ত। অথচ বাংলাদেশে কখনো এরকম ড্রেস পড়তো না,বিয়েতেও । তাহলে তাদেরকে কিছু করল না এত পশ্চিমা সংস্কৃতির হওয়া সত্ত্বেও অথচ বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিল,এটা কি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নয়?
কথা হইল যে ঠিক কোন কোন আলেম বা কারা 72 থেকে 75 এই সময় মুজিবের আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছিল? তাদের নাম তো বললেন না।
উত্তরমুছুন